সোমেশ্বর ভৌমিক

  • একটি ‘বাতিল’ চিত্রনাট্য, এক ঐতিহাসিক দলিল

    একটি ‘বাতিল’ চিত্রনাট্য, এক ঐতিহাসিক দলিল

    ১৯৩০ সালের ২৪শে জুলাই। জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখ শহরের হোটেলের ঘরে লিখতে বসলেন রবীন্দ্রনাথ। আগের দিনই মিউনিখ থেকে সোয়া বাহান্ন মাইল দূরে জার্মানি আর অস্ট্রিয়ার সীমান্তবর্তী ছোট জনপদ ওবেরআমমারগাউ-তে গিয়েছিলেন কবি। উদ্দেশ্য, যিশুখ্রিষ্টের জীবনান্তকালীন ঘটনাবলি অবলম্বনে নির্মিত খ্রিষ্টীয় ভক্তিনাট্যের অভিনয় দেখা। খ্রিষ্টানরা এ-ধরনের ভক্তিনাট্য বা সেটির অভিনয়কে বলেন ‘প্যাশন প্লে’। ওবেরআমমারগাউ-তে এই অভিনয়ের আসর…

  • ধ্বস্ত স্বপ্নের ভুবন

    ধ্বস্ত স্বপ্নের ভুবন

    কাব্যগ্রন্থ পদাতিকের কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘রাস্তাই একমাত্র রাস্তা।’ চলচ্চিত্র পদাতিকের পরিচালক মৃণাল সেনের বিশ্বাস ছিল, ‘সিনেমার বিকল্প সিনেমাই।’ সে-বিশ্বাস নিয়েই চলে গেছেন তিনি। আমরা জানি, আধুনিক সিনেমার প্রযুক্তিসর্বস্ব রূপ নিয়ে তাঁর অসন্তোষ আর উপলব্ধিরই প্রকাশ এই বাক্য। কিন্তু অন্য এক অর্থে, তাঁর নিজের চলচ্চিত্র-দর্শনেরও ছায়া পড়েছে এই বাক্যে। সবসময়েই চল্‌তি পথের বিকল্প খুঁজে গেছেন…

  • চলচ্চিত্র ও রবীন্দ্রনাথের  দৃশ্যভাবনা

    চলচ্চিত্র ও রবীন্দ্রনাথের দৃশ্যভাবনা

    স্মরণ যাঁর স্মরণে আজকের এই অনুষ্ঠান, সেই সুব্রত মিত্র কিংবদমিত্ম সিনেমাটোগ্রাফার। এদেশের চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে নবযুগের সূচনা হয়েছিল যাঁদের হাতে, তিনি ছিলেন তাঁদেরই একজন। আক্ষিপের কথা এই যে, এ-ব্যাপারে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই পরিচালকদের অবদানকে। সিনেমাটোগ্রাফার, সম্পাদক বা শিল্প-নির্দেশকদের ভূমিকা থেকে যায় একটু আড়ালে। কিন্তু এ-কথা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, সিনেমা যেহেতু সমবায়ী শিল্প, পরিচালকদের…