সৌমনা দাশগুপ্ত

  • সমান্তরাল দুটি রেখা

    কে কার ক্ষমতা অবধি যায় কে ভেজায় পুরুষদণ্ডটি, পিছু হটে স্রোত দৌড়োয় পেছন দরজায় এমন পেছল পথে হাঁটে পরমাণু এমন আগলে রাখা গোপন কপাট সেলাইয়ের শেষে, মুখ টিপে হাসে শল্যকার লুকোনো করাত ছিল, আর ছিল প্লুত জলে ভেসে থাকা প্রশ্নগুলি অন্ধকারে তর্জনীর ত্রাস তহবিল তছরুপের দিনে সমস্ত আকাশ ক্ষৌরি করে উঠে আসে দলা দলা কফ…

  • অনন্ত নেব্যুলার পথে

    অস্তিকুহকিনী জ্বর এই আসে এই যায় আমি ছিঁড়ে ফেলি মাংসের সব আবরণ তখনো ঢোকেনি ভোর এই ঘরে আলট্রামেরিন নীল, চরে বেড়াচ্ছে নাইটবাল্ব তখনো বুঝিনি সেটা ভোর না বিকেল দামিনী ফুটছে যেন আলোগাছ প্রবীণ বাঘিনি একা শুয়ে কবেকার টোটেমের মুখ তার দাঁতের পাটির ফাঁকে লেগে আছে জীবাশ্মের কুচি ইগলুর শীতে একা জাগছে প্ল্যাসেন্টা, মামড়ি উঠছে তার দেহ থেকে…

  • সুষুম্নার গাছ

    ১ স্বরলিপির খোলা হাটে বসিয়ে দিচ্ছি আলটপকা সবুজ সার্কাসের মাঠ; মিশে যাচ্ছে হাসি-হাহাকার কী অন্তহীন বেগুনি কচুরিপানার দেশে বউপাখি কথা কও কথা কও আমাদের ঘরের ভেতর ইঁদুর ঢুকেছে ভিটেমাটি কেটেকুটে খায়, এমনকি আকাশের সিঁড়ি এমনকি আমাদের দাঁত সব ইঁদুরের দাঁত কী রক্ত কী রক্ত চিৎকার করে ওঠে সফেদ চাদর ‘তুই থুলি মুই থুলি’ ঝগড়ায় মেতেছে…