অস্তিকুহকিনী জ্বর এই আসে এই যায়
আমি ছিঁড়ে ফেলি মাংসের সব আবরণ
তখনো ঢোকেনি ভোর এই ঘরে
আলট্রামেরিন নীল, চরে বেড়াচ্ছে নাইটবাল্ব
তখনো বুঝিনি সেটা ভোর না বিকেল
দামিনী ফুটছে যেন আলোগাছ
প্রবীণ বাঘিনি একা শুয়ে
কবেকার টোটেমের মুখ তার
দাঁতের পাটির ফাঁকে লেগে আছে জীবাশ্মের কুচি
ইগলুর শীতে একা জাগছে প্ল্যাসেন্টা, মামড়ি উঠছে তার দেহ থেকে
সেকি কোনো জৈব বল্কল? উড়ে আসছে প্রান্তদুপুরে যেন আমের মুকুল
ছদ্মচামড়া দিয়ে বানানো মাদল ওই বাজে ওই বাজে
দূর থেকে ভেসে আসে যুদ্ধদামামা
কে আমাকে ছুড়ে দ্যায়, প্রজ্ঞা ও ক্ষমার শেষে
কে জ্বালায় নিজের চোখের মণি স্তিমিত প্রদীপে
ধুলোর চপ্পল খুলে সে দ্যাখায় প্রোটনকণার ওই দ্রুত চলাচল, গতিজাড্যের ভাষা
ছড়িয়ে ছেত্রে পড়ে মহাজাগতিক ডোম, রক্তের ছিটেলাগা ক্যানভাস
শান্তির গায়ে-মুখে লোভ আর স্পৃহা
দূর এক বাতিঘরে জ্বলে আছে অক্সিমোরোন
আজো কি ফেঁসে যাবে জাহাজের পেট
লাইফ জ্যাকেট পরে নেমে যাবে নাবিকেরা
অনন্ত নেব্যুলার পথে বেজে উঠবে গভীর স্যাক্সোফোন
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.