অন্দরমহলে ঢোকার আগে কত কিছু দেখে নিতে হয়। নদীপাড়ের মানুষ, অসহায় বেদেনীর মুখ, সাহেববাড়ির গেট, নির্জনতা থেকে বাঁচবার জন্য যাত্রাদলের নায়িকার আঁচল ধরে কেঁদে ফেলা। 

অবসরে যাইনি কখনো। অন্দরমহলে ঢোকার আগে তাই মন ভরে দেখে নিই দূরের আকাশ, শীতের রোদ্দুর, অদিতির বাঁধভাঙা হাসি, সিংহ দরোজায় কারুকাজ করা ময়ূরের নাচ, খেয়ালী সংঘের নাটকের রিহার্সাল।

অন্দরমহলে কে অপেক্ষা করে? কাজীদের মেয়ে? শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস? গরম কফির ঘ্রাণ? রুদ্র ভাই?  রুদ্র ভাই? 

কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসরের আজান দেয় মসজিদে মসজিদে। অন্দরমহলে ছলাৎ ছলাৎ করে শৈশবের সাথিহারা ঢেউ।