অলোক সেন
-
কুশলতা তেমন মানি না
বুড়ো তেজি, জেদি আর তির নয়, বাক্যভরা দ্রোণ নিয়েছি শরণ। লিখেছি অনেক কিছু ঘাসে মুখ যে-নাড়াটি বাঁধা তাকে আলগা করেছি গোপন। কত শব্দ, প্রতি ক্লাসে, কূট ও কচালি, এক একটি আচমন শেষে হাত মুছি, মুণ্ড ভাঙি কুশদের, কুশলতা তেমন মানি না। শ্রদ্ধায় নিচু হয় মাথা, তবু ঈষৎ পক্ব আমি এবং কপট। শিক্ষা ক্রমবর্ধমান, পত্রপুষ্পে বিগ্রহটি…
-
জাহাজঘাটায় অপেক্ষা
অলোক সেন হাই মারিয়া, এ্যাতো শান্ত কেন? কে যেন বলেছিল – আসলে, নাম ছিল শামত্মা মারিয়া। বাড়ির পূর্ব প্রামেত্ম তার বাসা, যেবার স্রোতে ভেসে এসেছিল পশ্চিমে – বঙ্গোপসাগর শান্ত ছিল; তাকে দেখি হলদিয়া বন্দরে সমুদ্র শস্যের মতো সংকটে – ডেকেছিল সে, কথার ইঙ্গিতে, শীতরাতে। এড়াতে পারিনি, তাই সংকেতে – ওম্…
-
আফসোস
অলোক সেন লোকটা খিঁচিয়ে উঠল – কেন যে লেখেন? ধ্যাবড়া এরকম মতিচ্ছন্ন রাগ? ‘কেন’ – , ওই শব্দটির উৎসমুখ খুঁজতে গিয়ে – আঃ যমুনার সে কি কুলুকুলু… নৌকা সেই যে ডুবল, কালিদাস একটুও মুচকি হাসলেন না, জয়দেবও লুকোলেন না মুখ চণ্ডীদাস হাসতে হাসতে নেড়ে দিলেন পঞ্চবি ডাল। বিস্ময় যখন ফাটোফাটো সন্ন্যাসী…
-
জৈব বাহানা
অলোক সেন প্রণয় নেমেছে ঝেঁপে কাঁড়বাঁশও লেগেছে পিছনে, সরসর সরসর খরিশের অভিসার আধো নিপাট, আধো খচ্চর। পুঞ্জিত কুঞ্জে হারালো পথ সে-ঠিকানা কে বা জানে পাতার ওপরে চাঁদের গহনা নামে- জাগে সংশয়, সে কি আগুন লাগাবে! সুমতিকে ছিন্ন করে রাধাকে এনেছে টেনে সুরা ও দ্রাক্ষা পথে দু-একটি শায়র তবু, আটচালাটির পাশে পড়ে আছি…
-
সূর্যজন্মের দিকে
অলোক সেন এখন, সূর্যজন্মের আগে চাপচাপ অন্ধকার ঢেকে বসেছে টবের গাছে, বারান্দায়। নক্ষত্রসভার সদস্য হতে চায় – এই আবেদনপত্রসহ একাকী অমলিন মৃত্যুর দরজায় কড়া নাড়ে আর হাই তোলে। জীবনের বাড়ি যাবে শরবত খেতে তোমাকে তা কি করে বলে, এবার ভূত ও ভবিষ্যতে কড়া নাড় কবি। বিদায়, সূর্যজন্মের দিকে – সে বলেছে…