উম্মে মুসলিমা

  • তলোয়ার

    তলোয়ার

    শ্রীরেখা মিত্রের চোখে জল। টিভিতে দেখছিলাম। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের প্রযোজিত সিনেমা সম্পর্কে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করছিলেন, তখন শ্রীরেখা কথা বলতে গিয়ে একসময় কেঁদে ফেলেন। এ-মাটির টান তাঁকে কাঁদায়। একসময় বলতে থাকেন – ‘মাদারীপুরের জমিদার ছিল আমাদের পূর্বপুরুষ। বিশাল বাড়ি, পুকুর, খামার। হাজার ঘর প্রজা। সব ফেলে দেশভাগের সময় আমার পিতামহ কলকাতায় চলে যান। মাদারীপুরের…

  • অকিঞ্চিতের ঈশ্বর

    অকিঞ্চিতের ঈশ্বর

    এ -গল্পে অপুই মারা গেল বর্ষার টইটম্বুর পুকুরে নাইতে গিয়ে। ওর নাম আসলে অপু ছিল না, ছিল শ্রীমান অতুল কুমার দত্ত। অতটুকু নাম অতুল, তাকে আরো ছোট করে অতু বলে ডাকতো সবাই। ওর বড় বোনের নাম দুর্গা বলে আমি অতু না ডেকে অপু ডাকতাম। ছ-সাত বছরের অপু আমার অনেক কাজে লাগতো। ‘অপু, বাবলা গাছের কাঁটাআলা…

  • আবার বছর কুড়ি পর

    আবার বছর কুড়ি পর

    আমরা নিঃসন্তান দম্পতি। বিয়ের পনেরো বছর পর হানিমুন। মানে ওই ভারতে আর কি। আমি একরকম এক লেঠেল পরিবারের মেয়ে। খুব লেখাপড়া জানা ঘরের কেউ না। তবে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আশুতোষ, ফাল্গুনী, নীহাররঞ্জন চুটিয়ে পড়তাম। আমার দুই চাচার একজন আদালতের দলিল লেখক (শুনেছি দলিল লেখার নামে তিনি অনেকের জমি কায়দা করে হাতিয়ে নিতেন), আরেকজন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের…

  • বারবনিতা

    বারবনিতা

    আমাদের যৌথ পরিবার বাবা মারা যাওয়ার পরেও অনেকদিন টিকে ছিল। আমরা দু-ভাইবোন তখন ছোট। আমার বাবা, ছোট ফুপা আর ফুপার চাচাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাস্তা থেকে ছিটকে ইটবোঝাই ট্রাকের নিচে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। মা আর ছোট ফুপু গলাগলি ধরে অনেকদিন কাঁদল। একসঙ্গে একাধিকজন তাদের প্রিয়জন হারালে হারানোর বেদনা বোধহয় ভাগাভাগি হয়ে খানিক লাঘবও…