দুখু বাঙাল

না-চেয়েই কোনোকিছু  যে-তোমার ডানপাশে সারাপথ ছায়া হয়ে হাঁটে ভালোবাসার হিজাব-আবৃত্ত হয়ে মনে রেখো তারে। না-পেয়েই কোনোকিছু যে-তোমার ভুলটাকে ফুল বলে লড়ে সব ঘাটে প্রেমের আলখেল্লা পরে একজীবন খুঁজিয়ো তাহারে। না-ছুঁয়েই কোনোকিছু যে-তোমার দুঃখরাতে হাত ধরে নিয়ে যায় চাঁদোয়াসড়কে বিরহের হাঁস হয়ে পাড়ি দিয়ো লক্ষ মাইল তাহারই অন্তরে। শূন্য হাতে রাজসিক প্রত্যাবর্তন চিরদিন প্রেমেই মানায়।

পরবাসে বাস করে জুয়াড়ির মতো ফেরো তুমি শূন্যহাত নিয়ম মান্যের ঘরে অনিয়মে বসে আছে তোমার ওই মন জনারণ্যে অনায়াসে নগ্নদেহে হেঁটে চলে সন্ন্যাসী যেমন তুমি ও তোমার মনে রাতদিন বেড়ে চলে কেবলই সংঘাত। কোন সে-সুদূর দেশে আলো ফেলে আমি তার খুঁজি পথরেখা স্বর্ণমুদ্রার হাটখানি লিজ নিয়ে বসে আছে রাত্রির আকাশ রমণী আসে না আসে মেয়েলোক…

অভিধানের অর্গল ভেঙে স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের নামের জয়ধ্বনিতে বেরিয়ে পড়ল অগণিত শব্দের মিছিল। অথচ সেই স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কি-না খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলো সবশেষে। সাতচল্লিশে ভারতবর্ষে, একাত্তরে ফের বাংলাদেশে ইউরোপ-আফ্রিকায় পৃথিবীর সর্বত্রই একই চিত্র। বুঝলাম স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের শরীর-স্বাস্থ্য দেশে  কি বিদেশে কোথাও ভালো থাকে না।  নিরাপদ বন্দিশালায়ও এরা রক্তাক্ত হতে থাকে ক্রমাগত হয়তো নিপীড়ন-নির্যাতন আর…

না চেয়েই কোনোকিছু  যে তোমার ডানপাশে সারাপথ ছায়া হয়ে হাঁটে ভালোবাসার হিজাব-আবৃত হয়ে মনে রেখো তারে। না পেয়েই কোনোকিছু যে তোমার ভুলটাকে ফুল বলে লড়ে সব ঘাটে প্রেমের আলখেল্লা পরে একজীবন খুঁজিয়ো তাহারে। না ছুঁয়েই কোনোকিছু যে তোমার দুঃখরাতে হাত ধরে নিয়ে যায় চাঁদোয়াসড়কে বিরহের হাঁস হয়ে পাড়ি দিয়ো লক্ষ মাইল তাহারই অন্তরে। শূন্যহাতে রাজসিক…

আমার বর্ণমালা কালাপানির গর্র্ভজাত আলোকসন্তান   যারা প্রত্যুষের লাল হয়ে, ঝলমলে আলো হয়ে মুহূর্তে দখল নেয় পৃথিবীর সমস্ত ভূভাগ  সালাম জব্বার আর ফাগুনের সহজাত ভাই কি না লাল প্রিয়, প্রিয় তার রক্তাভ দরবারি পোশাক প্রাণদানে প্রাণজয়ী – চিরদিনের অব্যয়ীকুসুম। জাতিসংঘের বিস্তৃত হলঘরে জনকের তর্জনীর মতো যখন আমার বর্ণমালার রাজসিক উপস্থিতি ঘটে মনে হয়, এই বুঝি লালকেল্লার…