মাকিদ হায়দার
একাধিকবার জুতার বাড়ি খাইবার পরেও
আমার মনে হয় নাই কেহ আমাকে অপমান করিয়াছে।
তাহার বেকার ভাইটি হঠাৎ একদিন
হরিপদ ঋষির নিজ হাতে বানানো জুতা দিয়া
প্রকাশ্য দিবালোকে প্রহার করিলেন আমাকে।
যদিও আমি সেই বেকার ভাইটির
তৃতীয় ভগিনীর পাণিপ্রার্থী ছিলাম বলিয়াই
সেই দিন আমার কপালে জুটিয়াছিলো হাজার
রকমের উত্তম, মাধ্যম।
সেই দিনও আমি অপমানিত বোধ করি নাই,
কেননা, তাহার সুশ্রী ভগ্নিটির একখানি
প্রেমপত্র
আমার ইজের প্যান্টের গোপন কক্ষে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম,
যাহা এখন রাখিয়াছি শার্টের পকেটে।
দিন কয়েক আগে শুনিলাম জেসমিন এখন নাকি
নিউজিল্যান্ডে জুতার ব্যবসা করিতেছেন।
তিনি নববর্ষ উপলক্ষে এক বাক্স জুতা
উপহার স্বরূপ পাঠাইয়াছেন
আমার বাড়ির ঠিকানায়।
অতি উৎসাহে বাক্সটি খুলিয়া দেখি সেই একপাটি জুতা, –
যাহা দ্বারা তাহার বেকার ভাইটি আমাকে প্রহার করিয়াছিলেন
একশত তিনবার।
আমি তখনো অপমানিত বোধ করি নাই, এখনো করিতেছি না।
বরং জেসমিনের উপহার অতি যত্নে, অতীব সযত্নে,
রাখিয়া দিয়াছি।
হৃদয়-মন্দিরে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.