আশরাফ আহমদ
শীতে যারা জবুথবু আগুন পোহায়,
সেই দল ছেড়ে
জীর্ণ ঘোড়ার দলে, প্রতিযোগে,
ঊর্ধ্বশ্বাস ছোটে,
ক্লামিত্মতে পরাক্রান্ত হয়ে
নিরাশার পা স্পর্শের আগে
যদি মনটা কেমন করে?
যদি থেমে যাই!
স্বপ্ন সর্ষে হয়ে ধু-ধু প্রান্তরে যদি
বিছায় হলুদ শাড়ি, তবে
প্রথম প্রেমের চোখও
দৃষ্টিহীন আনন্দে মাতাল
পৃথিবী সর্ষেময়।
চোখভর্তি জটে অদৃশ্য দশদিক।
যদি বলো – ঝরাপাতা,
এলায়িত জন্ডিসের বিভোর সংক্রমণ,
যদি বলো – ভূতের প্রভাব কিংবা ইলিশ-উৎসব,
তবে – না।
এ কেবল স্বর্ণের বিভা,
এতে মধু, এতে নেশা,
চোখে-মনে মুগ্ধতার গান।
মৌমাছি-মন ওড়ে,
সামান্য হাওয়ায় যে মাঠভর্তি ঢেউ,
তাতেই দুলছি পুরো গোধূলি সময়।
ব্যর্থ বেদনা যত হালকা পালক হয়ে
ভেসে চলে গেলে,
অন্ধ-চোখে অন্ধকার নয়,
নেমে আসে প্রশামিত্মর দ্যুতি।
আমার কৃষকসত্তা দু’হাতে ছড়ায়
স্নিগ্ধ হাসির সুন্দর, আর
সর্ষের সুখ মেখে গায়ে
আমি শীতে পোহাই রোদ্দুর।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.