রাজীব
তখন নিশ্চুপ সন্ধ্যায়
দূরসমুদ্রের মধ্যে ঢেউয়ের কলরব ছিল,
তেমন লক্ষ করিনি।
সেদিন ভীষণ মগ্ন ছিলাম
ভিতরকে বাইরে টেনে আনবার আগ্রহে;
তখন আকাশের নীল রংকে অযথা করেছি তোষামোদ
এবং বিষণ্ণ বাতাসের গায়ে ছুড়ে দিয়েছি
ভীষণ চিন্তামগ্ন মন্তব্যের সনদপত্র!
তখন বোধহয় আটকে ছিলাম
অহংবোধের রঙিন দেয়ালের খুপরিতে
এক উনমাদনায়, নেশায় –
তাই অযাচিত করুণা ও সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করেছি।
সবকিছুতে অপটু অভিনেতার মতো আড়ম্বর করে
অবশেষে বুঝতে পেরেছি,
আমার মাথায় একটা গাধার টুপি জুটেছে
এবং তার দুপাশে কাঠের দুটো শিং।
আমি অতি নিম্নমানের ভাঁড়ের মতো
সকলকে বিরক্ত করেছি।
তারপর, আমার সঙের পোশাক
একে একে খসে গেছে;
আমি মঞ্চে চড়বার লোভ ছেড়ে নেমেছি পথে –
ঘুরতে ঘুরতে নির্জন অরণ্যের কাছে
এখন আমি মৌন হয়ে শুনি
ছোট নদীর গানের সুর;
দেখি – হলুদ পাতার বুকে সাতরঙা প্রজাপতি খেলে!
কিছু বলতে চেয়েই কথা হারিয়ে ফেলি
বৃষ্টিধোয়া আকাশের রাঙা রামধনু দেখে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.