অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
শেষ-মিনিট-টিকিট পকেটে
অদূর পাল্লার প্লেনে যেতে-না-যেতেই
অকল্যাণের শব্দে কেঁপে উঠি।
যেই গেছি গোরখপুর থেকে বারাণসী
শুভার্থীর ছদ্মবেশে আমায় অস্পষ্ট লোক দুটি
ডেকে বলল মহম্মদ রফি আর নেই।
একবার ভিয়েনা থেকে ডালহৌসি স্কোয়ারে
ফিরে আসবার মুখে শোকসভা ভেসেছে জোয়ারে,
পরলোকে সুরশিল্পী হারবার্ট ফন কারায়ান।
ঘরকুনো আছি তাই। নিতান্ত যেতেই যদি হয়
ঠাকুমার এরকম ঝুলি নেব যেন
তার মধ্যে দুঃসংবাদের হয় না স্থান সংকুলান।
আপাতত মিথিলার পথে হাঁটছি। মনটা বড়োই
পরিপ্লুত, আঞ্চলিক চিঁড়েগুড়দই
সঙ্গে আছে, সেটা বড়ো কথা নয়, পাঁচ ক্রোশ গিয়ে
দেখব সে-দেউল যার তোরণে দাঁড়িয়ে
বিদ্যাপতি লিখে গিয়েছেন :
যেই বেলা এল গোধূলির
নারী ছেড়ে গেল মন্দির
নতুন মেঘের বিদ্যুৎরেখা কেঁপে উঠে অস্থির।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.