বেলা অবেলা নেই, যেন অন্বেষণ ঘূর্ণমান সিঁড়িতে উঠছে নামছে,

পাশের বাসার মেয়েটি, কী রূপকথা সে, কখনো দেখিনি,

পূর্ব-পশ্চিমের মিউজিক আর গানে

নিজেকে বারবার রচনা করে উপসংহারহীন।

আমার ঘরের নীরব শূন্যতায়

উড়ে আসে ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’র ডানা।

দিগন্তে কোন অচেনা উড়ে গেল? 

পর্দা তুলে ঢুকে পড়ে : ‘ইউ ও’ন্ট ব্রেক মাই সোল’। 

কে তুমি রাখবে ফিরে আসা হাত হৃদয়-ভাঙনে?

বিয়োন্সে হলো না শেষ।

বেজে ওঠে ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে …’,

ও কি জন্ম?

ও কি মৃত্যু?

‘আনন্দ’র ‘দিবারাত্রি’ ভোর না হতেই :

‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’,

রমা রায় জেনে গেছে ভালোবাসা এক পাগলা গারদ।

আয়নার সামনে দাঁড়ায় :

‘বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুলশাখাতে …

আজও হায় রিক্ত শাখায়’ কে না ‘ঝুরছে নিশিদিন’? 

রিক্ততার ভিতর-ক্ষরণে নেচে ওঠে  শাকিরার ‘হিপস্ ডোন্ট লাই’। 

জানলা বন্ধ করবো না,

নদীর গন্ধ ভেসে আসে।

ঢেউয়ের কল্লোলে শুনি বব মার্লে, ‘কুড ইউ বি লাভ্ড’।

জোছনার মদের জন্যে অপেক্ষা করো মানুষ।

শুরু হলো, রিপনের ‘মৃত্যু উৎপাদন কারখানা’র আর্তনাদ।

কে নয় চির শ্রমিক তার?

স্যাক্সোফোন, বেসগিটার, বাঁশি আর ড্রামে

হঠাৎ তরঙ্গবলয় ‘পদ্মার ঢেউরে …’,

আমি ভাসতে থাকি তরণীবিহীন,

খড়কুটো অবহেলায় মুখ ছুঁয়ে যায়।

হঠাৎ শোনে, কিন্তু করে না বিশ্বাস,

‘উই শ্যাল ওভারকাম, সামডে …,

উই শ্যাল লিভ ইন পিস, সামডে’।

আমাদের বিজয়গুলি কি পরাজিত?

শান্তি কি দূরতম নক্ষত্র?

দরজায় কোনো এক জয়শ্রী ভোর

কড়া নাড়বে কোনো একদিন।

অধিক বৈচিত্র্যে চিত্ত অনাহারী।

আমিও কি পেন্ডুলামের অশেষ দোদুল্যমান অপেক্ষা?  

যাই-হোক-না কেন জেনারেশন?

একবার মেয়েটি বেলাভ‚মি খুঁজে পাক।