নজরুলের প্রবন্ধ : বিরুদ্ধতার শৈল্পিক স্বর

শিল্প-সাহিত্যকে, একইসঙ্গে একটি দূরপ্রসারিত আর ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন রুশ সাহিত্যিক তলস্তয়। আবার অন্যদিকে আমাদের নলিনীকান্ত গুপ্ত শিল্পের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করে বলেছিলেন, ‘শিল্পে চাই… দর্শন, তত্ত্ব, সমস্যানির্ণয়, সত্যবিচার।’ লেখা বাহুল্য যে, খুবই গভীর, অকপট আর সংযত এই চাওয়া। আর সেই উদ্দেশ্য থেকেই তিনি শিল্পে বস্তুর ও রূপের সমন্বয় ও সামঞ্জস্যের পাশাপাশি এই দুয়ের ‘ঐক্য ও একত্বে’র ওপর খানিকটা জোর দিয়েছিলেন।

দুই

শিল্পের প্রতি এই যে চাওয়া, তাকে গুরুত্ব প্রদান করা এটি শুধু একা তলস্তয় বা নলিনীকান্ত গুপ্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কাজী নজরুল ইসলামকে, আমরা শুধুই ‘বিদ্রোহী’ পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তাঁর সাহিত্যকর্মকে যথাযথভাবে শিল্পের কাঠামোয় বিচার করার সামর্থ্য যদি আমরা দেখাতে পারতাম, তাহলে বুঝতে অসুবিধা হতো না যে, নজরুল ইসলাম নিজেও ‘লোকশিক্ষায়, সমাজের কল্যাণসাধনে, মানুষের নৈতিক-উন্নয়নে’ শিল্প-সাহিত্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সেটা যে সম্ভব হয়নি তার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে, কবিতা ও গান বাদে, নজরুলের সাহিত্যকর্মের অন্যান্য মাধ্যমের প্রতি আমাদের মনোযোগের নিদারুণ অভাব। বিশেষ করে, এটি বলতেই হয় যে, নজরুলের গদ্যরচনা, বিশেষভাবে তাঁর প্রবন্ধের প্রতি এত বছর পরেও আমরা যোগ্য সমাদর বা শিল্প-বিচার – এর কোনোটিই করতে সক্ষম হইনি। নজরুলের প্রতি আমাদের যে অন্তহীন অমর্যাদা – এটিও তার একটা করুণ উদাহরণ বটে!

তিন

নজরুলের সাহিত্যকর্ম ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন, ‘অদম্য স্বতঃস্ফূর্ততা নজরুলের রচনার প্রধান গুণ – এবং প্রধান দোষ।’ আবার এর সঙ্গে তিনি এ-ও যোগ করেছিলেন যে, নজরুল শুধু ‘হু-হু করে লিখেছেন; ভাবতে বুঝতে মাজা-ঘষা করতে কখনো থামেননি, কোথায় থামতে হবে দিশে পাননি।’ শুধু নজরুলের কবিতার ব্যাপারেই নয়, তাঁর প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও বুদ্ধদেবের বয়ানটাকেই নিজেদের গোচরে বা অগোচরে আমরা যেন শিরোধার্য করে নিয়েছি। বিষয়ের গভীরে প্রবেশ না-করেই, আমরাও বুদ্ধদেবের মতোই মনে করেছি যে, নজরুলের প্রবন্ধে শুধু দেখা যাবে এক ‘চিন্তাহীন অনর্গলতা … উচ্ছৃঙ্খলতা, আতিশয্য, শৈথিল্য।’

চার

নজরুল তাঁর ‘যৌবনের গানে’ বলেছিলেন, ‘বনের পাখির মত স্বভাব আমার গান করায়। কাহারও ভালো লাগিলেও গাই, ভালো না লাগিলেও গাহিয়া যাই।’ একজন লেখক কতখানি আত্মসচেতন হলে এভাবে নিজের স্বভাবের বর্ণনা দিতে পারেন, সেটি আমরা কখনো ভাবিনি। একজন সাহিত্যিকের আত্মসচেতনতাই যে তাঁর শিল্পশক্তি ও আত্মশক্তিরই এক অনন্য নিদর্শন – সেটি অনুধাবনের সামর্থ্য আমাদের সমালোচনার জগতে নেই বললেই চলে। সুনির্দিষ্টভাবে নিজের সাহিত্যকর্মের বৈশিষ্ট্যকে শনাক্ত করতে গিয়ে নজরুল জানিয়েছিলেন, ‘যৌবনের সীমা পরিক্রমণ আজও আমার শেষ হয় নাই, কাজেই আমি যে গান গাই, তাহা যৌবনের গান।’ সম্ভবত এইসব দিক বিবেচনা করেই আবু সয়ীদ আইয়ুবের মতো প্রাজ্ঞ সমালোচক বলেছিলেন, ‘জনগণের নাড়ী কোনখান দিয়ে বয়, সে বিষয়ে তাঁর [নজরুল ইসলাম] জ্ঞান ছিলো অব্যর্থ।’ শুধুই জনগণের নাড়ীর খবরই নয়, নিজের নাড়ী-নক্ষত্রের বিষয়েও তাঁর জ্ঞান ছিল অসামান্য। তাও-বাদীরা তো সে-কারণেই বিশ্বাস করতেন, ‘He who knows others is wise; he who knows himself is enlightened.’

নজরুলের প্রবন্ধের মধ্যে এইসব বিষয় নানাভাবে দেখতে পাওয়া যায়। নিজের সম্পর্কে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, ‘আমি পরম আত্মবিশ^াসী। তাই যা অন্যায় বলে বুঝেছি, তাকে অন্যায় বলেছি, অত্যাচারকে অত্যাচার বলেছি, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছি, কাহারো তোষামোদ করি নাই, প্রশংসা ও প্রসাদের লোভে কাহারো পিছনে পোঁ ধরি নাই।’ এখানেই শুধু থামেননি নজরুল; এসবের সঙ্গে তিনি আরো যুক্ত করেছেন তাঁর এই উপলব্ধিকে – ‘আমি শুধু রাজার অন্যায়ের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করি নাই, সমাজের, জাতির, দেশের বিরুদ্ধে আমার

সত্য-তরবারির তীব্র আক্রমণ সমান বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।’ মোট কথা এই যে, নজরুল কখনোই কোনো অবস্থাতেই নিজের আত্মশক্তিকে খর্ব হতে দেননি। এটিকে আমরা বলতে পারি, তাঁর চৈতন্যের ক্রমপ্রসারণ। সংগত কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘আপনাকে যে খর্ব করে, সে কেবল নিজেকেই কমিয়ে রাখে তা নয়। মোটের উপর সমস্ত মানুষের মূল্য সে হ্রাস করে।’ নজরুল ইসলাম নিজেকে কখনোই যেমন খর্ব করেননি, ঠিক তেমনই আবার, সমাজের অন্যসব মানুষের মূল্যকেও কমিয়ে রাখার মতো অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেননি।

পাঁচ

নজরুল শুধু নিজেরই নয়, সেইসঙ্গে সমাজের মানুষগুলির অন্তর্নিহিত শক্তিকেও বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, সেই সক্ষমতা তিনি অর্জন করেছিলেন যুক্তি দিয়েই কেবল নয়, আবেগ দিয়েও। আবার এটিও সত্যি যে, নজরুল শুধুই আবেগপ্রবণ ছিলেন না; আবেগের শক্তিকেও তিনি কাজে লাগিয়েছিলেন। আবু সয়ীদ আইয়ুব তো বলেইছিলেন যে, ‘সাহিত্যিক তো শুধু সমালোচক নয়, সমাজের অন্তর্র্নিহিত জীবনীশক্তির সে প্রতিপালকও বটে।’ সেইদিক থেকে বিচার করতে গিয়ে আইয়ুবের মনে হয়েছিল, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে নজরুলের কোনো তুলনা নেই। কেননা, পরাধীন ভারতের ‘জাতীয় বিপ্লবের সার্থক সাহিত্যিক প্রতিভূ’ হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছিলেন। আর তাই তো আমরা দেখতে পাই, সুভাষচন্দ্র বসুর মতো রাজনৈতিক নেতা বলেছিলেন, ‘স্বাধীন দেশে জীবনের সহিত সাহিত্যের স্পষ্ট সম্বন্ধ আছে। আমাদের দেশে তা নাই। দেশ পরাধীন বলে এদেশের লোকেরা জীবনের সকল ঘটনা থেকে উপাদান সংগ্রহ করতে পারে না। নজরুলে তার ব্যতিক্রম দেখা যায়। নজরুল জীবনের নানাদিক থেকে উপকরণ সংগ্রহ করেছেন। … এতেই বুঝা যায় যে নজরুল একটা জীবন্ত মানুষ।’ সেইসঙ্গে এই কথাগুলিও সুভাষ বলেছিলেন, ‘কারাগারে আমরা অনেকে যাই; কিন্তু সাহিত্যের মধ্যে সেই জেল-জীবনের প্রভাব কমই দেখতে পাই। তার কারণ অনুভূতি কম। কিন্তু নজরুল যে জেলে গিয়েছিলেন, তার প্রমাণ তাঁর লেখার মধ্যে অনেক স্থানেই পাওয়া যায়। এতেও বুঝা যায় যে, তিনি একটা জ্যান্ত মানুষ।’ আমরা এককথায় বলতে পারি যে, সাহিত্যকর্মের
প্রাণ-সজীবতা নজরুলের প্রবন্ধের অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য।

ছয়

এটা তো আমরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারি না যে, নজরুলের সাহিত্যকর্মে আবেগ রয়েছে, আবেগের প্রাবল্য রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এ-ও আমাদের মনে রাখতে হবে যে, নজরুলের সেই আবেগ বেপথুমান নয়, বরং আবেগের সঞ্চারমান বৈশিষ্ট্য তাঁর সাহিত্যকর্মকে বিশিষ্টতা দান করেছে। রবীন্দ্রনাথ সঠিকভাবেই বলেছিলেন যে, ‘আবেগকে প্রকাশ করতে হলে কথার মধ্যে আবেগের ধর্ম সঞ্চার করতে হবে।’ কেন করতে হবে? এর উত্তরে রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ‘আবেগের ধর্ম হচ্ছে বেগ; সে চলে, চালায়। কথা যখন সেই বেগ গ্রহণ করে, তখন স্পন্দিত হৃদয়ভাবের সঙ্গে তার সাধর্ম্য ঘটে।’

নজরুলের প্রবন্ধে আমরা আবেগের সেই সাধর্ম্যরে শৈল্পিক প্রকাশ দেখি এইভাবে : ‘হিন্দু হিন্দু থাক, মুসলমান মুসলমান থাক, শুধু একবার এই মহাগগনতলের সীমা-হারা মুক্তির মাঝে দাঁড়াইয়া – মানব! তোমার কণ্ঠে সেই সৃষ্টির আদিম বাণী ফুটাও দেখি! বল দেখি, “আমার মানুষ ধর্ম!”… মানবতার এই মহা-যুগে একবার গণ্ডী কাটাইয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রাহ্মণ নও, শূদ্র নও, হিন্দু নও, মুসলমান নও, তুমি মানুষ – তুমি সত্য।’

সাত

মানুষের ‘মানুষ’ পরিচয়টাকেই তিনি বড় করে দেখিয়েছেন। শুধুই তাঁর সাহিত্যকর্মে নয়, নজরুলের ব্যক্তিগত জীবনেও তার নানা নমুনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। জীবনটাকে তিনি না-জাত, না-ধর্ম – কোনোদিক থেকেই খণ্ড-বিখণ্ড করতে চাননি। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনকে প্রতিক্ষণে খণ্ড-খণ্ড করি বলিয়াই সংসারতাপ দুঃসহ হয়। সমস্ত ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্নতাকে সেই মহান একের মধ্যে গ্রন্থিত করিতে পারিলে সমস্ত আক্ষেপ-বিক্ষেপের হাত হইতে পরিত্রাণ পাই।’ অন্যদিকে, কাজী নজরুল ইসলাম নিজেও সেই ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্নতাকে অনুভূতির সত্যিকারের আলোয় নিয়ে এসে গ্রন্থিত করেছিলেন। তাঁর নিজস্ব প্রজ্ঞানধর্মের ওপর ভর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমার বন্ধন ওই সামনের দেওয়ালকে ভাঙ্গিতে হইলে একেবারে তাহার ভিত্তিমূলে শাবল মারিতে হইবে।’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ‘আর ভাবের ঘরে চুরি করিও না। আগে ভাল করিয়া চোখ মেলিয়া দেখ। কার্যের সম্ভাবনা-অসম্ভাবনার কথা অগ্রে বিবেচনা করিয়া কার্যে নামিলে তোমার উৎসাহ অনর্থক নষ্ট হইবে না।’

বলা যায়, এইভাবেই নজরুল তাঁর চিন্তাধারাকে আত্মশক্তির শৈল্পিক বিকাশের সঙ্গে একীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর তাই জোর দিয়েছিলেন ‘সত্য-শিক্ষা’ থেকে ‘নৈতিক-শিক্ষা’ এবং ‘জাতীয় শিক্ষা’ থেকে শুরু করে ‘জাতীয় বিশেষত্ব’ আয়ত্তের ওপর। আর সবার ওপরে, নজরুলকে প্রেরণা জোগানোর আয়োজক ছিল তাঁর রাজনৈতিক চেতনা। নজরুলের সাহিত্যকর্মকে, তাঁর রাজনৈতিক প্রেরণা থেকে তো বটেই,  তাঁর রাজনৈতিক চেতনা থেকেও তেমনই আলাদা করে দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। নানা কারণে এর বিপরীতে দাঁড়িয়েই আমরা অনেক সময় বিভ্রান্তির শিকার হই।

আট

নজরুল তাঁর রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে ‘প্রাণের ধর্ম’ হিসেবে তারুণ্যকে, যৌবনকে বিভিন্নভাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তিনি এই বিশ্বাসের ওপর ভর দিয়ে বলতে পেরেছিলেন – ‘আমাদের দেশ নাই, জাতি নাই, অন্য ধর্ম নাই। … প্রাণের ধর্ম আমাদের তারুণ্য, যৌবন। আমরা সকল দেশের, সকল জাতির, সকল ধর্মের, সকল কালের। আমরা মুরীদ যৌবনের।’ নজরুলের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আমরা শুধু তাঁর রাজনৈতিক চেতনার কথা নয়, সেইসঙ্গে তার মধ্যে এক বিরুদ্ধতার কণ্ঠস্বরও যেন সেদিন [বিশ শতকের তিরিশের দশকে] শুনতে পেয়েছিলাম।

ভারতের বিশিষ্ট ইতিহাসবেত্তা রোমিলা থাপার মনে করেন, আমাদের সমাজে এইসব বিরুদ্ধতার নানান স্বর পুরোপুরি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আসেনি। এর বীজ ভারতীয় নানাবিধ চিন্তাধারার মধ্যেও অনেকাংশে প্রচ্ছন্ন ছিল। থাপার আরো জানিয়েছেন, এই যে বিরুদ্ধতার স্বর, ‘Its origins lie in a multiplicity of ideas that come from diverse ways of thought and manifold lived experiences।’ ঠিক একইভাবে, নজরুলের কবিতা-গানে শুধু নয়, তাঁর প্রবন্ধের মধ্যেও আমরা এই উপমহাদেশের মানুষের ভাবনার বহুত্ববাদী কাঠামোকে যেমন দেখি, তেমনি দেখতে পাই বিরুদ্ধতার চিন্তার প্রকরণ, তার শিক্ষা। আর, এই স্বর তার যাবতীয় বিশ্বাস, উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা নিয়েও একইসঙ্গে শৈল্পিকভাবে স্বকীয়।

নয়

কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মধ্যে এই ‘বিশ্বাস, উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা’র প্রাবল্য দেখে যাঁরা তাঁকে খারিজ করার চেষ্টা করে থাকেন, তাঁরা যেন এটি মনে রাখেন যে, এই ‘খারেজি’দের পক্ষে সাহিত্যচর্চা যে নিতান্তই অবৈধ – বুদ্ধদেব বসু সেটি একেবারে স্পষ্টভাবেই বলে গিয়েছেন।

সহায়ক গ্রন্থ

১. কাজী নজরুল ইসলাম, ২০০৬। নজরুল-রচনাবলী (জন্মশতবর্ষ সংস্করণ), (সম্পাদনা-পরিষদ : রফিকুল ইসলাম), বাংলা একাডেমি, ঢাকা।

২. কাজী নজরুল ইসলাম, ২০১৬। প্রবন্ধ-সমগ্র (প্রথম সংস্করণ : ১৯৯৭), নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

৩. Romila Thapar, 2020. Voices of Dissent, Seagull Books, Kolkata.