খালেদ হোসাইন
অনেকদিন কবিতা লেখা হয়নি
দেশের যা অবস্থা
আমরা মনে হয় পরস্পরকে ভুলেই গিয়েছি।
তোমাকে বললাম।
কবিতা লেখার সমস্যা কম নয়।
কেউ ভাবে বোকা-সোকা, শোধ-বোধ কম
কেউ ভাবে চতুর লম্পট।
তারা তো তাদের মতোই ভাববে, নাকি?
কবিদের মাথায় রাখতে হয় নানারকম ধারা
রক্ষা করতে হয় স্ত্রীর মন
আত্মীয়স্বজনের সম্মান। কবি যদি
সত্যের দেবতা হন, তবে তাঁর
হাত-পা বাঁধা।
মুখ খুব নিখুঁতভাবে সেলাই করা।
কবিদের দল-কোন্দল আছে।
এমন কোনো দল নেই, যে-দলে
কোনো কবি নেই।
সাধারণত পত্রিকা পড়েন না। তবে বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিলে
পরদিন সব পত্রিকা কিনে এনে
ড্রয়িংরুমে ছড়িয়ে রাখেন।
তার আগে দেখে নেন, কার নাম তার আগে ছাপা হলো।
মানুষের মূর্খতা দেখে তখন তাঁর খুব দুঃখ হয়।
আমি আসলে এতসব বলতে চাইনি।
আর এতটা ছড়িয়ে-জড়িয়ে কথা বলা আমার স্বভাবও নয়।
খুব মানুষ-টানুষ মরল তো পুড়ে টুড়ে –
খুব গুম খুন হল তো এখানে-ওখানে –
মনটা সত্যি নির্বাক।
আমি অনেকদিন পরে তোমাকে দেখলাম।
কী ফর্সা আর মসৃণ তোমার বাহু।
আমার খুব ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিল।
আর-কিছু নয়, শুধু এই বিষয়টাকে নিয়ে
একটি কবিতা হয়তো লেখা হবে আজ।
তোমাকে বললাম।
তুমি বললে, কেন শরীর-টরীর নিয়েই লিখতে হবে
তোমাকে?
আমি হতভম্ব হয়ে সেই তখন থেকে বসে আছি।
ভাবছি,
এখানে শরীর এলো কোত্থেকে,
শরীর কোথায়?