বগুড়ার মেয়েটিকে মিস করি খুব। যে কেবল আমার পেছনে পেছনে ঘুরত। ক্লাসশেষে প্রতিদিন মন্নুজান হল গেটে ওকে পৌঁছে দিতে হতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দিলে মেয়েটিকে বগুড়া পৌঁছে দিতে হতো এই আমাকেই। আমি ওর কথা না শুনলে বলত – তুমি এমন করলে আমি আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব না।
এতো মায়াময় সেই কণ্ঠস্বর শুনে আমি মধুর যন্ত্রণায় ভুগতাম। আমার সব ব্যস্ততা হার মেনে যেত মেয়েটির স্নিগ্ধতায়। তারপর মন্নুজান হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকার সুখ, রাজশাহী-বগুড়ার বাসে ওর পাশে বসে চলনবিল দেখার চেয়ে ওর বিষণ্ন রোমান্টিক চেহারায় ডুব দিয়ে গল্প উঁকি দিত পরম নির্ভরতায়।
ক্যাম্পাসের আর সব মেয়ের ভিড় থেকে আমাকে আগলে রাখার কী প্রাণপণ চেষ্টা তার। একদিন শহীদুল্লাহ্ কলাভবনের বারান্দায় সাব্রী সাবেরীনভাইকে বলল – সাবেরীনভাই, যুবরাজ আমাকে একটুও ভালোবাসে না। ওকে একটু বকে দেন তো।
বগুড়ার মেয়েটিকে মিস করি খুব। বগুড়ার সাতরাস্তা, জলেশ্বরীতলা, নবাববাড়ির গেট, উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি কাতরতা বাড়ায় দিনকে দিন।
অগ্রহায়ণ সন্ধ্যা, কার সাথে কথা বলো তুমি?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.