তুমি নেই, তোমার না-থাকাগুলো আছে
তারা আছে কায়ার মায়ায়
আমি তাদের পারি না ছাড়াতে, কখনো তার ভার
বড় দুর্বহ – আমি জলের অতলে তলিয়ে যেতে
যেতে
খুঁজি পরিত্রাণ – নেই, কখনো আবার তারা কী
নেশায়
আমাকে আকাশে ওড়ায়, সাগরে ভাসায়
আমাকে ঘিরে তারা এক চলচ্চিত্র অবিরাম –
দর্শনে-শ্রবণে-ঘ্রাণে-আশ্লেষে এক মায়াবাস্তব
অথচ কী আশ্চর্য এরই মধ্যে আমি
তোমার ভ্রƒকুটি – নজরদারি মিস করি
ইতিউতি তার খোঁজে মরীচিকায় দিশেহারা, কখনো
ওই
কণ্ঠ শোনার পিয়াসে – হাহাকারে মাঠের পর মাঠ
চৌচির
ক্ষোভে-অভিমানে-যন্ত্রণায়-বিকারে কখনো আমি
তোমার না-থাকার অস্তিত্বকে পদদলিত করি
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিতে চাই
কিন্তু তারা বড় নাছোড়, তারা বড় বেহায়া কিংবা
তারা
নিরুপায়, অসহায়, করুণাকাতর। কখনো আমি
আবার
তোমার না-থাকাকে উদ্যাপন করি শব্দে, সুরে, রঙে
রসে
কখনো অশেষ পিয়াসে, পরিতাপে – আজ এই
পূর্ণিমায়
মনে হয় এমনি জ্যোৎস্না উদ্ভাসিত তোমার মুখে চুমো
খেলে
আমি তোমায় স্বর্গের পরমায় পেতে পারতাম অথচ
আমার
উদাসীন পা এমন পুন্নি, বর্ষা নিবিড় রাত – সব
পুণ্যলগ্ন
মাড়িয়ে এখন নরকে; নির্বাণে তুমি চিরশান্তিকে
পেলে
আমি তোমার না-থাকার নরকাগ্নিতে। এই না-থাকায়
প্রজ্বলন্ত আমার একমাত্র অবলম্বন
তোমার ওই না-থাকারাই – এ এক অদ্ভুত পরিহাস
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.