হুমায়ূন মালিক

  • তীর্থনদ

    ব্রহ্মপুত্রের একান্ত নিজের এক গান আছে তার বিশাল বিশাল চর, চরের কাশবন সরিষার হলদে বান, জলের ভয়াল পাঁকের যে স্বরলিপি, যে সুর তা আর কারো নেই তার কাছে এলে আর কোনো গান শোনা যায় না মোসার্ত, ম্যারাডোনা কী মাইকেল থেকে জ্যানেট জ্যাকসন, সাকিরা কী ডায়নার দেহ ও প্রেমের গান, গল্প এখানে কোনো সুর খুঁজে পায়…

  • স্বর্ণা

    আমি কি জানি সোনা নয় আমার চাই পরশপাথর শুধু জানি খনিতে আছে রাশি রাশি সোনা, তাই – খনির পাতালপুরী থেকে তোমাকে পেতে আমি কত যে, কতবার যে জীবন দিই; আকরিক থেকে শোধনে সাধনে তোমাকে তোমার সম্পন্ন মহিমায় পেতে কত যে ঘাম ঝরাই, এভাবে ঘাম রক্ত ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে এক স্বর্ণদেবীতে আমার বিশ্বাস ঠাঁই খোঁজে…

  • নোটেশন

    তোমার নোটেশনগুলো বড় বিপজ্জনক শব্দে-সুরে, রঙে-রসে তার যত স্তুতিই হোক সে কেবল এক সুন্দরের প্রপঞ্চ – ধ্বংসযজ্ঞে আত্মাহুতির প্রণোদনা; তোমার ভ্রুকুটির বিদ্যুচ্চমকে যতবার আমার জগৎ আনন্দে উদ্ভাসিত ততবার আমার মাথায় বাজ পড়ে। বস্তুত তারা বড় প্রোভোকেটিং তোমার ওষ্ঠ, স্তন, ঊরুসন্ধির অতল স্পর্শ আমায় স্বর্গে নেবে এমন নোটেশনে প্রলুব্ধ আমি বারবার খুনোখুনিতে জড়াই – তার পাপে…

  • মাহমুদুল হক : তাঁর বিমূর্ত শিল্পভুবন

    মাহমুদুল হক : তাঁর বিমূর্ত শিল্পভুবন

    বাংলাদেশের সমকালীন বিমূর্ত শিল্পকলার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি শিল্পী মাহমুদুল হক ষাটের দশকের শেষার্ধে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তাঁর চিত্রকলায় যেমন সমকালীন বৈশিষ্ট্যকে সার্থকভাবে ধারণ করেছেন, তেমনি যুগপৎ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ভাস্কর একটি শিল্পভুবন নির্মাণেও সমর্থ হয়েছেন। মাহমুদুল হক পেইন্টিং এবং ছাপচিত্র – উভয় মাধ্যমে বিমূর্তরীতিকে সার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন। তিনি তাঁর অধিকাংশ তেলরঙের ছবিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করেছেন…

  • মায়াবাস্তব

    তুমি নেই, তোমার না-থাকাগুলো আছে তারা আছে কায়ার মায়ায় আমি তাদের পারি না ছাড়াতে, কখনো তার ভার বড় দুর্বহ – আমি জলের অতলে তলিয়ে যেতে                                                যেতে খুঁজি পরিত্রাণ – নেই, কখনো আবার তারা কী                                              নেশায় আমাকে আকাশে ওড়ায়, সাগরে ভাসায় আমাকে ঘিরে তারা এক চলচ্চিত্র অবিরাম – দর্শনে-শ্রবণে-ঘ্রাণে-আশ্লেষে এক মায়াবাস্তব অথচ কী আশ্চর্য…