অনেক পুরোনো দিন

পুরোনো দিনের কোনো কুহকি জগতে

আছ আবার বিভ্রমে নেইও তুমি যেথা –

সেই পুরোনো দিনের সৌরতাপে, পৃথিবীর মেঘগুলো

কতটা কেমন

গলে যায়,

আর ভাঙা বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেলে বৃষ্টির ঝমঝমিয়া

বড় বড় ফোঁটা কখন কোথায় পড়বে?

স্মৃতির শিখায় কতবার দপদপ ঘুরবে জাফর স্যারের ছোট মেয়ে –

স্কুলের পেছনে মøান পানাপুকুরে যে জলখেলার আগেই ডুবে গেল

ঊনত্রিশটি মরণাপন্ন দিন সাথে নিয়ে, সে-ও পুরাতন,

বাতাসে বাতাসে ভেসে আসা;

অন্ধকারে সে নাকি অন্ধের চোখে গভীর পতন!

আমরা তখন

কবিতা-টবিতা জপে গরম ভাতের সঙ্গে

সাহিত্য মিশিয়ে আর খেতেই পারিনি, কতকাল না খেয়ে ছিলাম!

জাফর স্যারের আক্রান্ত গলায় আটকে থাকা তার ছোট মেয়ে

আমাদের আগ্রাসী গলায় সাহিত্য মেশানো শক্ত ভাত …

আহা আহা, সব আটকা! সকলেই টুঁ-শব্দে গ্রেপ্তার!

টিনের চালের মতো উড়ে

কারা আমরা কে কোথায় অমর?

মরে মরে এই চরাচরে

রয়ে-সয়ে

আজিকে জায়গা একটু যদি পাই,

সাহিত্য গুলিয়ে খেয়ে, চোখেমুখে আর ফেসবুকে ধেয়ে

নিরীহ সিভিল ড্রেসে

একে একে এরপর বিমান হামলা

যেন লাশ পড়ছে –

মরছে এক দুই তিন …

জাফর স্যারের শান্ত মেয়ের মতন কাঁপতে থাকা

পানাপুকুর … কাঁপিছে

ব্যথা –

অনেক পুরোনো দিন!