রাতুল দেববর্মণ
প্রাত্যহিকতার থেকে দূরে সরে এসে
ভোর হলো আজ কীর্তনখোলার জলে,
জীবনানন্দ যে-লয়ে ধানসিড়ি পার হতেন
ভোঁ-শব্দে থেমে গেছে ভৈরোঁ সুর,
এখন কুশায়া নেই, জলে ভাসে শুধু
তনদ্রাহারা ঢুলুঢুলু পাখি শঙ্কা ফেলে দূরে,
কেবিনের জানালা দিয়ে দেখি শূন্য নগরী
সূর্যের আলো কাঁপে নীল ঢাকা মেখলায়,
দূরে সবুজ ধানের গন্ধ আসে, হাতছানি দেয়
হৃদয়ের চারণকবি মুকুন্দ দাসের মুক্তিমন্দির,
ঢেউয়ের মূর্ছনায় এইসব বিমূঢ় হয়ে দেখি – যেন
‘নির্জন খেতের দিকে চেয়ে দাঁড়ায়েছে অভিভূত চাষা’
নতুন কোনো ফসলি রোদ্দুরের খোঁজে
খাঁড়িতে দাঁড়িয়েছে সুদূর ওপাড়া থেকে
আগুনপ্রেমিক এক অন্তহীন আগুনের খোঁজে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.