আঁধারের অন্তর দেখতে গিয়ে দেখি – জোনাকি বন্দর

আলোর বসন্ত বিনামূল্যে ফেরি করে বৃক্ষের সবুজ ফ্ল্যাটে

কেঁপে উঠলো জলভরা যমজ চোখের নীল নক্ষত্র

তবুও তাঁবু গেড়েছি গৃহ থেকে দূরে অসীম দিগন্ত উঠোনে,

দেখে যাও বেদনা কাঠের ঘর – বড্ড বাদামি ঘুমন্ত পৃথিবী;

মহুয়ার মগ্নতায় মনমমি হেঁটে যাচ্ছে কুয়াশাভেজা পথে।

কার কাছে জমা আছে চেনা পায়ের শব্দ – আঁধার কী জানে?

বাতাসের উড়ন্ত কফিনে উড়ে যায় অনন্ত অন্তর –

দরিয়ার দক্ষিণা দরজায় জমা পড়েছে জলের মোহর,

জোছনা জননী দেখবে বলেই দ্যাখেনি পাখির ডানা।

কেউ না বললেও পাখিরা জানে – অন্তরে জমা থাকে

চাঁদের মতোন গোলাকার চেনা পায়ের ছাপ;

ঠিক যেন পালকহীন পাখির অস্পষ্ট বিলাপ।

যতই ভুলে যেতে চাই – ততই জোনাকি বন্দরে

আলোর বসন্ত পথ ধরে; অরণ্যের সবুজ দেবতা প্রহরে

দেবতারা শুদ্ধ হবার রাতে – গোপনে জোনাকি হয়ে যায়।

Published :