ভেবেছিলাম, আজ ভবঘুরে হবো

কিন্তু ওঁৎ পেতে ছিল আঁধার!

আর সাথে ডেকে নিয়েছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিকে।

তবে আমাকে আমার পথ চেনে –

গন্তব্যের কাছেও আমি নই অচেনা।

দেখা হলে পথের দুপাশের দূর্বাঘাস ও বুনোফুলগুলো

জানতে চায়, আমি কেমন আছি?

ধেয়ে চলা মেঘলা আকাশ থেকে হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলে

আমার সেই চেনা পথ বর্ণময় হয়ে ওঠে,

তাকে উচ্ছল ও চঞ্চল হরিণী বলে মনে হয়।

কিন্তু কখনো সে জানতে চায়নি একবারও

আমি তাকে কতখানি চিনি;

কিংবা আদৌ তাকে চিনি কি না?

যে ভালোবাসে, সে কতটুকু ভালোবেসে

প্রতিবিম্বের শূন্যতা পূর্ণ করেই প্রেমিক হয়,

আর ধীরে-ধীরে আলো-আঁধারের ছায়াঘুম ভেঙে

হৃদয়ের ক্যানভাসে স্বপ্নস্নাত ছবি হয়ে ওঠে।

তবে ধেয়ে চলা সময়ের কোনো স্মৃতি নেই

নেই কোনোকিছু হারাবার পিছুটানও,

শকুন্তলার বনে কোনো বসন্ত ছিল না বটে

কিন্তু রাজা দুষ্মন্ত রঞ্জিত ছিল ফাগুনের রাগে।

যাত্রা যদি শুরু হয়ে যায় একবার,

তাহলে গন্তব্য কিছুতেই দূরে নয়।

কর্পূরের মতো ভেসে ভেসে নীল কোনো এক রাতে

চেনা এই পথ ধরে একদিন স্মৃতিময় ছবি হয়ে যাবো!

সারাবেলা ঘাটের পাড়ে বসে নদীর মধ্যে পুকুর দেখেছি

আর জলের নীরবতার ছায়া শরীরে মেখে

অনুভব করেছি মুণ্ডুহীন সময়ের গন্ধ –

বুঝিনি, অংকের যোগ-বিয়োগে তবে এত ভুল ছিল!