তো, আমি মরবো ঠিক অপঘাতে – ফুলের স-গোত্র সংঘাতে
বুকে এসে বসবে শকুন, পচবে না আমার লাশ, – বাঁচবো আমি সর্বভুক ক্ষুধার্তের পেটে, অথবা
আমি বেঁচে রইবো প্রিয়তমা, বিস্মৃতি, তোর নীরব আঘাতে আঘাতে
তুই আসবি, ডাকবি কেঁদে কেঁদে ‘ও, আউশ সখা কই গেলি-রে?’
আমাকে ঠোঁটে করে নিয়ে যাবে বাবুই, অ-ভুক্ত সেই ধানক্ষেত, নদী তীরে!
ধান হয়ে ঢুকে যাবো পাখি তোর পেটে, বিষ্ঠা হয়ে পতিত হবো কাদায় কাদায়
পুনরায় জন্মাবো, সন্তানহীন চাষার ক্ষেতে, – সমূহ নবজাতক কাঁদায়
দেখা হবে হয়তো পুত্র অঋবের সঙ্গে, বিলুপ্ত মাঠের কিনারায়
এইখানে স্বজনহারা প্রাণ ও স্বজনের শোক জন্মায় বারবার, কে তাকে পায় খুঁজে অনুভব ছাড়া?
আমি মরবো শিশিরের গহিন অশ্রুপাতে, কোনো মৃত সন্তানের আঘাতে, ভোরে
অনাহারী সূর্য এসে খাবে ঠুকরে, শুষে শুষে, হবো শুষ্ক লীন – দূর অনন্তপুরে। পুড়ে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.