ঘুম, মৃত্যু কিংবা শূন্য

শরীরের ওপরে নক্ষত্রের ছায়া পড়ে সর্বক্ষণ। দেখা যায় না কিন্তু সে থাকে, বালক বয়সের প্রথম প্রেমের মতো। সেই নক্ষত্রের ছায়া ঘাস মাঠ পেরিয়ে এসে পড়ে শরীরে। লোকসভা ভোটের চেয়েও বেঁটে আমাদের জীবনের সেই সমুদ্রগভীর ছায়ার কথাই বলতে চেয়েছিলাম তোকে নীলাঞ্জন।

আমাদের মৃত্যু কি ঘুম এক? সত্তাহীন ঘুম? সেই ঘুমের ভেতরে কি কেউ স্বপ্ন দেখে? গুলঞ্চ পাতা দিয়ে বানানো বসবার আসনে একদিন পাতার দুধ দিয়ে লিখে রেখেছি ‘আমরা বাইপ্রজা’ তুলাপাতার বীজ এই ঘাসমাটির জীবন থেকে আমাকে নিয়ে যেতে পারে মহাকাশ আর শূন্যের ভেতর, বলা যায় না যদি আত্মহত্যা করে ফেলি?

আমাদের জীবন থেকে অনন্ত অনেক দূরে উড়ে চলে গেছে।  অথচ তার ছায়া পড়ে, প্রখর জীবন তোকে বুঝতে দেয় না সেই ছায়া, সেই অনন্তমাধবের কথাই বলতে চেয়েছিলাম তোকে, নীলাঞ্জন।