জোছনা-প্লাবিত

মাঝে-মধ্যে ইচ্ছে হয় মাঘী-পূর্ণিমার রাতে বোধিবৃক্ষের জোছনামাখা ছায়ায় মুখোমুখি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি। সে কে, যার সঙ্গে চন্দনার ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে? বয়সের এই মরা-কাটালের সময় নির্দিষ্ট করে কারো নাম এখন মুখে আনতে ভালো লাগে না। শুধু মনে হয়, কেউ একজন থাকলেই হলো। কিছুটা মানবিক বোধসম্পন্ন হলেই হলো। আহা, পাখির নামে তার নাম – চন্দনা! পাঁচ ভাইয়ের এক বোন। কৈশোরোত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কারো চোখের তারায় জোছনা খুঁজে বেড়াতো চন্দনা নামের মেয়েটি।

উত্তরায় তেরো নম্বর সেক্টরের বিশ নম্বর বাড়িটার চারদিকে একবার তাকালো চন্দনা চৌধুরী। আচমকা একটি দীর্ঘশ^াস চন্দনার নাভি থেকে কণ্ঠনালি বেয়ে সোজা নাকের ভেতর দিয়ে ঝাঁ করে বের হয়ে অদূরে ইউক্যালিপটাসের মসৃণ শরীরে মিশে গেল। চন্দনা একটি চেয়ার টেনে দোতলার বারান্দায় বসে পড়লো। এভাবে বসাটাও দারুণ কষ্টের এখন। আজকাল বিছানা থেকে নামলেই পায়ের তলা মেঝেতে রাখা যায় না। ব্যথা লাগে। বাচ্চাদের মতো করে পা ফেলে ফেলে অনেকটা হাঁটার পর ব্যথা কমে আসে। মাঝেমধ্যে পায়ে স্যান্ডেলও ঢোকে না। দিনে দুটো করে ‘ল্যাসিক্স’ খেয়েও জলবিয়োগ হয় না। ফলে, পায়ের ফোলাও কমে না। শালার বয়স … মনে মনে বিরক্ত হয় চন্দনা। আহা, এই খালি প্লটটায় বাড়ি উঠে গেলে আর তো প্রকৃতি দেখা যাবে না! এই বারান্দায় এসে কষ্ট করে বসার কোনো অর্থই হবে না হয়তো। দুদিন আগের ঝরে যাওয়া বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে দু-জোড়া হাঁস জলকেলি করছে। ওগুলি পাশের বাড়ির পালিত পাখি। একটু হাসি পেল চন্দনার। দেয়ালে হেলান দিয়ে বসার চেষ্টা করলো – পারলো না। চেয়ারের পেছনটা ওকে সাহায্য করলো না। পাশের বাড়ির বুড়িটা পারেও বটে। হাঁস, মুরগি, টিয়া, কবুতর, ময়না থেকে শুরু করে কুকুর, বেড়াল আর ছাগল পর্যন্ত বাড়ির ভেতর রেখেছে। ওগুলির পেছনে কত যে খরচ হয় বুড়ির তা মাবুদই জানে। ঘরের কাজের জন্য, এক কাপ চা করে দেওয়ার জন্য একটা ছুড়ি পাওয়া যায় না আজকাল, অথচ বুড়িটা ওগুলির সেবাযত্নের জন্য মানুষ রেখেছে পাঁচজন। একজন মধ্যবয়সী পুরুষ, একজন দোহারা গড়নের বোকাসোকা চেহারার কিশোর আর তিনটা ত্যাঁদোড় মার্কা ছেমড়ি। এ-তিনটাকে দেখলে ওর মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে। কী বাহারি কাপড়চোপড় আর কী যে ঢং করে কথা …! ভাগ্যিস বুড়িটার স্বামী-পুত্র নেই। থাকলে বুড়ি নির্ঘাত বাড়িছাড়া হয়ে যেতো।

হঠাৎ চন্দনা দেখলো দূর থেকে বিন্দুর মতো একটি আলোর কণা ওর চোখেমুখে এসে সরে যাচ্ছে বারবার। চন্দনা উঠে দাঁড়ালো। কষ্ট হলো দাঁড়াতে। কোমরের ব্যথাটা অজগরের মতো মাথা তুলে ফোঁস করে ছুঁয়ে দেয় যেন। মনটা দুর্বল হয়ে যায়। হায় রে বয়স! উদাস চোখে তাকায় চন্দনা। কুঞ্জকুটিরের তিনতলার একটি ঘরে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। ছায়া দেখেই চেনা যাচ্ছে। আর কে – সে রবিন। চন্দনার বড়ভাইয়ের সহপাঠী ও বন্ধু। একদা পছন্দের মানুষ। আনন্দের উৎস। একমাত্র মায়ের অনিচ্ছার কারণে চন্দনার সঙ্গে ভালোবাসার খেলাটাকে শেষ করতে পারেনি রবিন। মধ্যবয়সে একই পাড়ায় বাড়ি তৈরি করে আবার চন্দনাকে আকাশে ওড়াতে চায় নাকি? ছিঃ! ঘৃণার রুমালে কপাল মুছলো চন্দনা।

চন্দনার দুই মেয়ে রোদেলা ও মেঘলা। দুই ছেলে অর্ক ও অতুল। ওদের বাবা রকিবুল হাসান চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টের উকিল। মাঝারি গড়ন। ফর্সা রং।

মেয়ে-মক্কেলদের নিয়ে কোর্টপাড়াতেই দিন কাটে তার। দামি চুরুট দু-আঙুলের ফাঁকে নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়া ছড়ায়। চন্দনার মনের জানালার কাছেও দাঁড়ায় না সে। কেবল আকাশে-আকাশে মেঘের তরীতে ভাসে। পাঁচ ভাই ঘাট লেনের একটি পুরনো বাড়ির তিন কামরার কবুতরের খোপে চন্দনার প্রথম সংসার গড়ে উঠেছিল। চার সন্তানের চাঁদমুখ-দর্শন ওই বাড়িতেই। একটু পেছন ফিরে তাকালেই চন্দনার দু-চোখ দিঘি হয়। আজ এত বড় শহরে এত সুন্দর সাজানো-গোছানো বাড়িতে ছেলেমেয়েরা কেউ থাকলো না। থাকতে হচ্ছে চন্দনাকে একা। অপছন্দের মানুষটির ছায়াসঙ্গী হয়ে। সুম্মা আমিন। আমিন বলে কবুল করা লোকটির সঙ্গে এখন আর দৈহিক সম্পর্ক নেই। দুজন দু-ঘরে। যেন যোজন-যোজন দূরে। মুনিয়া পাখির মতো কিচিকিচি সুরে টেলিফোন বেজে উঠলো। চন্দনা বিছানায় শুয়ে রিসিভার কানে তুললো – হ্যালো!

– আম্মু।

– মেঘলা … কেমন আছো মা?

– ভালো। তুমি কেমন?

– আমি, এই তো একরকম। তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম।

– হাঁটতে যাওনি আজ? মেঘলার আদুরে কণ্ঠ।

– না, মানে একটু বৃষ্টি-বৃষ্টি তো …

মেয়ে মায়ের অলসতা মেশানো ছলনাটুকু বুঝে নিয়ে বললো – আচ্ছা, রোদেলা আপু যে ট্রেডমিল কিনে দিয়ে গেল গতবার, সেটা কাজে লাগাও তো, নাকি?

– হ্যাঁ … ওটার ওপর উঠে প্রতিদিনই তো নাচি।

– আব্বু কেমন আছে?

– ভালোই তো দেখছি।

– ঠিক আছে আম্মু, এ-মাসে দুশো ডলার পাঠালাম, ইচ্ছেমতো খরচ করবে। তোমার প্রিয় থাই স্যুপ খেতে যাবে মিনা খালাকে নিয়ে। কোনোরকম কষ্ট করবে না। ঠিক আছে, আজ রাখি। ভালো থেকো কিন্তু!

চন্দনার ছোট মেয়ে মেঘলা মুম্বাই আইআইটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আমেরিকায় আছে স্বামীসহ দশ বছর ধরে। ‘নাসা’য় চাকরি করে দুজনে।

বড় মেয়ে রোদেলা অস্ট্রেলিয়ায় একটি ওষুধ কোম্পানির কেমিস্ট। জামাই পিএইচ.ডি করছে। দু-ছেলেই কানাডায় সস্ত্রীক। প্রতিদিন চার ছেলে-মেয়ে-জামাই এবং বউমাদের সঙ্গে চন্দনা টেলিফোনে কথা বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যেন ওরা ওর আশেপাশেই আছে। ওদের পাঠানো ডলার দিয়েই ওর নিজস্ব খরচগুলি মিটে যায় আয়েশ করে। সিংহভাগ ব্যয় হয় অবশ্য টেলিফোন বিল শোধ করে। দু-বছর আগে ছেলেরা এসে মায়ের শোবার ঘরে এসি লাগিয়ে দিয়ে গেছে। গরমে মায়ের যেন কষ্ট না হয় ওই ভারি শরীরে। চন্দনা বলে, হায় রে, কষ্ট কাহাকে বলে সে তো টের পেয়েছিলাম যখন বাচ্চারা সব ছোট ছিল। চার বাচ্চা নিয়ে গোয়ালের মতো ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে একটি ডাবল খাটে আড়াআড়ি করে ঘুমাতাম। আর ওই উকিল সাহেব তো হোটেল ভেনাসে এসি রুমে রাত কাটিয়ে সকালে বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া সেরে দায়িত্বশীল পিতার মতো বাচ্চাদের গাল টিপে আদর করে কোর্টে চলে যেতেন কালো কোট পরে। চন্দনার জীবন তখন ভারবাহী জন্তুর মতো। রাতের অন্ধকারে কখনো বা ব্যবহৃত হতো সে বড় অনাদরে কাঠের তক্তার মতো। ধর – মার – কাট করেই জন্ম চারটি শিশুর।

চন্দনা চুপ করে থাকে। ভেতরে ভেতরে দহন হতে থাকে। দাঁতে দাঁত ঘষে বিড়বিড় করে বলে – আয়, কাছে আয় তুই। রাতের আঁধারে দু-চার ফোঁটা ফেলা আর ভালোবাসা তৈরি করা এক জিনিস নয়, এটা তোকে বুঝিয়ে দিই। বউটা কেমন যেন রহস্যময় হাসি ছুড়ে জানালার কাছ থেকে সরে যায়।

ওরা চার ভাইবোনই প্রতিষ্ঠিত। এটুকুই চন্দনার শান্তি। এখানেই যেন ও জয়িতা। ছেলেরা অবশ্য বাবার ঘরেও এসি লাগাতে চেয়েছিল। কিন্তু উনি খ্যাঁক খ্যাঁক করে উঠলেন – আমার লাগবো না অত বাহাদুরি। নবাবের বেটিরেই দাও।

– আব্বা এভাবে কথা বলছেন কেন? – অর্ক বিস্ময়ভরা চোখে তাকালো।

– অ! অহন কথাও তুমাদের কাছে শিখতে কও নাকি?

অতুল আর অর্ক কথা বাড়ায়নি

 অযথা।

ছেঁড়া মেঘের মতো টুকরো-টুকরো স্মৃতি নিয়েই চন্দনার দিন কাটে। দারোয়ান গফুর আর কাজের মেয়ে লতিফা – এই দুজনকে নিয়েই ওর দিনযাপন।

তখন রাত দুটোরও বেশি। চন্দনার ঘুম ভেঙে গেল। কী ব্যাপার, সাহেবের ঘরে বাতি জ্বলছে! পা টিপে-টিপে চন্দনা পাশের ঘরের আধখোলা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে যা দেখলো সে নিয়ে কোনো কথাই তুললো না তখন। পরদিন গফুরকে ডেকে জিজ্ঞেস করল – কী রে গফুর, কাল রাতে সাহেবের ঘরে কী করছিলি?

গফুর চমকে উঠল – আফনে দেখছেন আম্মা?

– না দেখলে বলছি কেন?

গফুর কিছুক্ষণ চিন্তিত মুখে এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললো – মানুষটার বয়স হইলে কী অইব! স্বভাব তো ভালো অইলো না। নটি মাগিগোর কাছে যায় …। খাইজ্জানিতে দুই রানের মাংস পুইড়া কয়লা। কইথন য্যান মলম লইয়া আইছে। নিজে পারে না, আমারে কয় মালিশ কইরা দিতে, একশ টাকা রোজ দিবো। কী করবাম মাইয়ো, গরিব মানুষ আমরা …

গফুরের সর্বাঙ্গে অপরাধবোধ তিরতির করে নামছে। চন্দনা বলল – তুই যা এ-ঘর থেকে।

দু-বছরের ব্যবধানে চার ছেলেমেয়েই যখন দেশের বাইরে চলে গেল, পুরনো শহরের সেই সরু ফিতার মতো গলি থেকে সরে এসে জীবনযাত্রার উন্নততর ব্যবস্থায় যখন সমর্পিত হলো, তখন একবার মনে হয়েছিল কুয়ার জলে গোসল করা শরীরটাকে আজ না-হয় বাথটাবে তরল সাবানের সুবাসিত ফেনায় সুচিস্নিগ্ধ করে নিয়ে আরেকবার সময়ের প্রয়োজনে জীবন সাজাই। কী হবে? এখানে তো কেউ আমাদের চেনে না। বিগত জীবনের গ্লানিময় অধ্যায়গুলি এখনকার কেউ তো দেখেনি। আবার না-হয় নতুন করে শুরু করি। কিন্তু কেন যেন কেউ কারো কাছে যেতে পারেনি। ঘৃণা মেশানো একটি দেয়াল দু-ঘরের মাঝখানে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে গেল। মাঝেমধ্যে চন্দনার মনে হয়, এ কেমন জীবন! দূরে কোথাও চলে গেলে কেমন হয়? অন্তত কোনো বৃদ্ধাশ্রমে গেলেও তো সবার সঙ্গে থাকা যেতো। এভাবে এই মশারিঘেরা জীবন থেকে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। আত্মীয়-বন্ধুরা বলেন, সর্বনাশ, ওই কাজও করো না। হাজার হলেও স্বামী মাথার ছাতা। এত সুন্দর প্রাসাদের মতো বাড়িতে রেখেছে তোমায়। একটা সামাজিক মর্যাদা আছে না?

চন্দনার তখন বলতে ইচ্ছে হয়, মনের মর্যাদা যেখানে নেই, সেখানে সমাজ কি একটি বড় বিষয়? কে তৈরি করেছে এই সমাজ, যেখানে লাম্পট্যের কাহিনি প্রকাশ করা যাবে না? নারীকে যে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু স্বামীরূপী পুরুষের দেবে না, সেই পুরুষের অধীনে থাকাটা কি খুবই জরুরি?

– আম্মা, স্যারের জানি কী হইছে! ছটফট করতাছে, এট্টু আইবেন? – গফুরের কথায় চন্দনা কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর ধীরপায়ে শরীরটা ঠেলে নিয়ে গেল পাশের ঘরে। দরজার পর্দাটা একটু সরিয়ে শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল – কী হইছে, জ¦র?

– না। জ¦র না, কিন্তু খুব গরম লাগতাছে …।

– আমার ঘরে চলেন। এসি ছাড়া আছে। আরাম লাগতে পারে।

– জি¦ স্যার, চলেন, চলেন, আম্মার ঘরে চলেন। ঠান্ডায় থাকলে আর শইলের জ্বালাপোড়া থাকপো না।

গফুর তার মনিবকে মুহূর্তের মধ্যে চ্যাংদোলা করে চন্দনার ঘরে নিয়ে এলো। চন্দনা অনেকদিন পর ভালো করে দেখল লোকটির শরীরে চড়ুই পাখির সমান মাংসও নেই। পা-দুটো শুকনো পাটখড়ির মতো ঝুলছে গফুরের দু-হাতের ওপর। মুখটার ওপর রাজ্যের বিরক্তি। মাঢ়ির দাঁতগুলো কি নেই নাকি? গাল দুটো গর্তে ঢোকা কেনো?

Ñ অ্যাই গফুর, আগে চেয়ারে বসা। বিছানা গুছিয়ে নিই আগে।

চন্দনার কথায় গফুর তাকে সাবধানে খাটের পাশে রাখা চেয়ারে বসালো।

চন্দনা আলমারি খুলল। এপলিকের কাজ করা দুধসাদা একটা চাদর বিছালো টানটান করে। বালিশের কভার-দুটা দ্রুত হাতে পালটে দিলো। মাথার কাছে সাইড টেবিলে রাখা ছোট্ট ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে ঘরময় একটি নীলাভ আলো ছড়িয়ে দিলো। গফুর ধীরপায়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

চন্দনা দেখলো লোকটা আস্তে আস্তে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। স্খলিত লুঙ্গিটা পেটের ওপর শক্ত করে বেঁধে নিয়ে দরজার দিকে হাঁটতে হাঁটতে বললো – থাইক। এখন একটু ভাল্লাগতাছে।

চন্দনা মানুষটার অপস্রিয়মাণ শরীরটার দিকে তাকিয়ে ভাবলো – ভয় পেল নাকি? আমি কি ওকে …। নাকি ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়? শরীরের প্রতিটি খাঁজে তো পাপাচারের বীজ রোপিত। এই গতর শুভ্র সুন্দর স্বর্গীয় বিছানায় এলিয়ে দেওয়ার সাহস কি আছে তার?

চন্দনা রোজকার মতো ঢকঢক করে এক মগ পানি খেলো। তারপর দরজার ছিটকিনিটা তুলে দিলো।

মধ্যরাতে চন্দনা দেখলো পূর্ণিমার আলোতে ওর দুধসাদা বিছানার চাদরটা ভিজে যাচ্ছে। থোকা-থোকা জোছনার আলোতে ওর সমস্ত শরীর প্লাবিত হচ্ছে। চোখে-মুখে আর মনের উঠোনে যেন জোছনার লুকোচুরি খেলা চলছে। চন্দনা ভালোলাগার আবেশে পুলকিত হলো। চোখ খুলে শুধু একবার তাকালো – কেউ নেই।