ডায়োজেনিসের লণ্ঠন

আজব এক লণ্ঠন ঘুমায় রাতের বেলা

জেগে ওঠে সূর্যের আলোয়

আর ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীময়

মানুষের মুখের কাছে দাঁড়িয়ে কী

যেন পরখ করে

কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে

মানুষ খুঁজছি – পাগল

দিনের বেলা কেউ লণ্ঠন জ্বালে এতো তেল আসে কোত্থেকে

লণ্ঠন চলতে শুরু করে ব্রহ্মাণ্ড অবধি

সকল দেয়াল ভেদ করে যায় প্রান্তবিন্দু

লণ্ঠনের আঁচড়ে তৈরি হয় আলোকোজ্জ্বল দরোজা

উত্তর দক্ষিণ পূর্ব সব কোণের আঁধার-সৈন্যের ব্যূহ ভেদ করে লণ্ঠন

বেরিয়ে পড়ে বুদ্ধের বেশে

রাত্রির আগেই সে দাব্বাতুল আরদ পরিদর্শন করবে পৃথিবী

প্রত্যেক জ্ঞানীর কপালে এঁকে দেবে

সিলমোহর উৎকণ্ঠার পরিবর্তমান জ্যামিতি

লণ্ঠনের গঠনশৈলী জানেন এক

প্রকৌশলী – নাম ডায়োজেনিস

থাকেন শূন্যতার অদৃশ্য ছায়ায়

তার ঘর একটা বিরতি চিহ্ন

ঔদ্ধত্যের স্পেস দিয়ে তৈরি

তিনি মহাবীর আলেকজান্ডারকে

নস্যি ভাবেন

দার্শনিক প্লেটো মূর্খ তার কাছে

নলেজ ডটকমে

বিনে পয়সায় সারা বিশে^ রপ্তানি

করেন লণ্ঠন

তিনি তার কবর ঠিক করেছেন নেকড়ের পেটে

জীবদ্দশায় যাদের তিনি মোকাবিলা করেন

Published :


Comments

Leave a Reply