ত্রিভুজ কিংবা স্বপ্নে পাওয়া ভবিষ্যৎ

পাশা খেলায় হারজিত এক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার

তবু শেকল পরা পা দেখলে পরাজিত জীবনের কথা মনে পড়ে

যখন ঘুম ভেঙে

গাছে ওঠার প্রস্তুতি নিয়ে দেখি বহু আগেই রোদ উঠে গেছে গাছে

ঘাসের শিশিরে পা ফেলতে গিয়ে বুঝি কুকুরের স্নেহ মাড়িয়ে গেছে শিশির

ছুতোরের গড়া কাঠের ত্রিভুজে গিয়ে বসি

সময়কে বিদ্ধ করে দেখি রক্তমজ্জায় আর কী কী পরাজয় লেখা আছে

আমার সামনে দিয়ে ছুটে যায় ট্রেন

কোনো কোনো নৌযান থেকে হারানো যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার ব্যাকুল প্রত্যাশা করে

তবু জানে না জীবন থেকে ছিটকে পড়ে আটকে পড়েছে মরুভূমির দেশে

তাদের দিকে আরো কিছু ধারালো ত্রিভুজ বাড়িয়ে দিয়ে বলি

একবার নিজেকে একবার ঈশ্বরকে ফালা ফালা করো

তারা যত্ন করে ত্রিভুজগুলো তুলে নিয়ে বহুদূর নিরুদ্দেশে যায় –

তাদের ব্যাগভর্তি সন্তানের কান্না, বুকভর্তি স্বজনের তিরস্কার নিয়ে

অন্য কোনো নদীতে ঘর বাঁধে

আবার ঘুম থেকে উঠি ভোরবেলা। দেখি, স্বপ্নে পাওয়া ভবিষ্যৎ নিয়ে

ছুটে চলেছি বড় রাস্তার দিকে। রাস্তার শরীরে হিংস্র যান, দুরন্ত গণমানুষ –

তাদের স্বপ্নের চারাগাছগুলো পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত রুয়ে দিতে

ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছে এই প্রত্যুষে, কালো রাস্তায়