উৎপলকুমার বসু
উপ্ত বীজ
উপ্ত বীজ, তাকে আমি পারি না বোঝাতে
বেশ আছো অন্ধকারে, মাটির গভীরে –
বাইরের উষ্ণতার খোঁজে, সামান্য জলের জন্য,
রোদের জন্য তাকে ফুটে উঠতে দেখি,
ভোরের পাখির ডাকে সাড়া দেয়, খাদ্য হিসেবে
নিজেকেই মেলে ধরে –
না-লেখা কবিতা যেন – নিজেকে নিজেই
বোঝে না, মানে না।
নিরুদ্দিষ্টের প্রতি
সমুদ্রধীবরদল সেই রাতে সাগরে গিয়েছে। সঙ্গে নিয়ে
টিফিনবাক্সভর্তি ক্ষুধা ও সন্তাপ, ছেলেমেয়েদের গান,
মেঠো সুর। রাসবিহারীর মোড়ে আমিও পৌঁছে গেছি,
পায়ে হেঁটে, দেখেছি স্বজনপ্রিয় মানুষেরা ঘরে ফিরছে –
বীর যেন, বাজারের বাইরে দাঁড়িয়ে শাকসবজি দর করছে।
এইভাবে দিন গেল, মাস গেল, বছর গড়ায় – সমুদ্রধীবরদল
তীরে আসে, নৌকা বাঁধে, জাল থেকে মাছ ধুয়ে তোলে,
মেয়েরা সাহায্যে নামে। শুধু সুকুমার বলে যে-কিশোর
সাগরে নিরুদ্দেশ, স্বপ্নাও এক সন্ধ্যামেলায় হারিয়ে গেল,
তাদের জন্য এই আলো জ্বেলে রাখি। কবে তারা সাড়া
দেবে? আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাবো।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.