আমি যখন দ্বিতীয় ঈশ্বরের মুখোমুখি বসি, জগৎ সংসার মানুষের মুখ সব হাওয়াকলের নাভিমূল থেকে অশরীরী
আলোয় রহস্যঘন জীবনের প্রচ্ছদ দেখতে পাই। উন্মত্ত
চোখ ও বোধের আঙটায় ঝুলে আছে মহাকাল! জন্মের
নির্দিষ্ট সময়-কাল নিরবচ্ছিন্ন শূন্যতায় ভেসে বেড়ায়! নুনে
ধরা সম্পর্করা গিলে খায় সার্বভৌম সত্যের দীর্ঘসূত্রিতা
আমরা বেঁচে আছি যে যার মতো! প্রতিদিন অপেক্ষা, হৃদয়
ও জলের তোড় মৃত অরণ্যের শিশির ভেজা শীতকে মনে করিয়ে দেয়। কুয়াশাভেজা ভোরে আগুন ও বৃক্ষের মুখ
থেকে গুঞ্জরিত হতে থাকে আলো-অন্ধকার। জানি না ঢাকার বন্ধুরা কে কেমন আছে! আমি, আমার হৃদয় এখন
ঢাকা-ছাড়া! কবে ফিরে যাবো তাও জানি না! জন্মভূমির হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে মন ও ঈশ্বর। চারদিকে চেনা-অচেনা মানুষের ভিড়ে মুহূর্তরা ম্লান হতে থাকে। অগ্রহায়ণের এই সন্ধ্যায় ভাবি, জীবন কী আসলে? আত্মার আত্মীয়রা আলোর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে দিগন্ত অবধি
তারপরও আমি মানুষের চোখের ভেতরে প্রতিহিংসা, রহস্য ও ধ্বংসের তীব্রতা অনুভব করি! জেগে থাকি নক্ষত্রের তীব্র
আলোয়! মস্তিষ্ক খুলে দিলে ইশ্বরের অস্তিত্ব সিদ্ধিলাভের
মতো স্পষ্ট দেখা যায়! অল্প অভিজ্ঞতার আলোকে এরকম শীতের ধূসরতা অর্ধেক জীবনের চাঁদের গল্পের মতো
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.