জলপাই বনের গভীরে দাঁড়িয়ে
দ্রোণাচার্যের মনে হলো, এই যে হাঁটতে হাঁটতে
বনের শেষ প্রান্ত
একেই কি আমি আয়ুষ্কাল বলব!
শ্বাপদের রক্তচক্ষুর খেদ
বাঘ আর হরিণের সম্পর্কেই পুঁথিলেখা
বিশ্বমানচিত্রের ইঙ্গিতলিপি
প্রতিটি পদক্ষেপ বলে যায় – কোনো জাতির দেহ আর মন
জৈব পার্থক্যহীন একটাই জীবন
হাতিয়ার প্রস্তুতি পর্বে – ন্যায় আর অন্যায়ের সংবিধান
সত্যিই কি পালটে যায়?
অর্জুন অন্ধকার রাতের শব্দ আয়ত্ত করেছে
শব্দভেদী বাণ কি শুনতে পাচ্ছে –
হৃৎপিণ্ডের এই ওঠানামা,
শুনতে পাচ্ছে গুরুবাণীর আড়ালে থাকা
চাহিদার মহাকালের ফর্দ!
জংলি কুকুরের মুখে বাঁধা তীরের প্রশ্ন
পর্ণকুটিরের ধারে –
আমার ভাস্কর্যের মুখে লেগে থাকা
আদিবাসী রক্তের রং
একটা ব্রহ্মশির উপাধির ক্রুশকাঠ
বহন করতে করতে এই জঙ্গলের শেষ প্রান্তে এসে
মিলিয়ে যাবো – আমাকে কেউ একদিন ঠিক
খুঁজে পাবে! কর্ণের অহংকারের মতো দাঁড়িয়ে থাকা
বৃক্ষের স্থবিরতা, সূর্যমন্ত্রের শিখায় জ্বলে ওঠা
বধ্যভূমির চিতার আগুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.