বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের পুরো জীবনই যেন এক কিংবদন্তি! তাঁর জন্মশতবার্ষিকী ছিল গত ১০ই আগস্ট, ২০২৫। বিস্ময়করভাবে দিনটি উদ্যাপনে সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যকর উদ্যোগ ছিল না। ঢাকায় যে-দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, তা বেসরকারি উদ্যোগে হয়েছে সুলতানভক্তদের সহায়তায়। এর প্রথমটি ছিল সুলতান জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠান, যা ৯ই আগস্ট শনিবার বেঙ্গল গ্যালারিতে হয়। ১০ থেকে ১৬ই আগস্ট যশোর চারুপীঠ ও টেরাকোটার উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার, চিত্রপ্রদর্শনী, বই ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আন্তরিক আয়োজন।
গত ২২শে আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অগ্রজ আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুনের তোলা ছবি নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনালয়ে ‘শতবর্ষে সুলতান’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
যেখানে মামুন যেমন দেয়ালে সুলতানের আলোকচিত্র ঝুলিয়েছেন, পাশাপাশি শিল্পীর ড্রয়িং, শিল্পীকে নিয়ে প্রকাশনা, তাঁর হাতের লেখা চিঠি, এমনকি ফেলে দেওয়া তিনটি দাঁত পর্যন্ত এখানে রাখা আছে!
মামুনকে সুলতান বিশেষ স্নেহ করতেন। সেই ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল – টানা প্রায় পর্যন্ত ছয়টি বছর তিনি নিয়মিত নড়াইলে গেছেন, সুলতানের ছবি তুলেছেন। তিনি তাঁর চিত্রকলা ও জীবন-দর্শন অনুধাবনের চেষ্টা করেছেন এবং ঢাকা ও অন্যান্য স্থানে তাঁর ছবি জনসমক্ষে প্রচার করেছেন।
ভালোবেসে সুলতান তাঁকে উপহার হিসেবে বেশ কিছু ড্রয়িংও দিয়েছেন। অনেক পরে তাঁর নিজের কাছে থাকা সুলতানের স্কেচ বিক্রির টাকায় তিনি অনেক দাম দিয়ে ভালো একটি ক্যামেরা কিনতে সমর্থ হয়েছিলেন। বছর কয়েক আগে এই তথ্য মামুনই আমাকে বলেছিলেন। সব মিলিয়ে শিল্পী সুলতানের বিষয়ে মামুনের একপ্রকার দায়বদ্ধতা আমরা লক্ষ করি অনেকদিন আগে থেকেই। সুলতান জন্মশতবর্ষে তাঁর সম্পাদনায় সুলতানকে নিয়ে অন্যান্য লেখক-শিল্পীর মূল্যায়নধর্মী লেখা সহযোগে ২০২৪-২৫ সময়কালে তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, স্বয়ং তাঁরই রচনায় একটি উপন্যাসিকাও বেরিয়েছে সম্প্রতি।
নাসির আলী মামুনের ৬৫তম একক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী এটি। মামুন এই উদ্যোগটিকে তাঁর শৈল্পিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক মনে করছেন। এ-বছরই তিনি একুশে পদক জিতেছেন ছবি তোলায় তাঁর অবদানের জন্য। এটি শুধু একটি আলোকচিত্র-প্রদর্শনী নয়, এটি নড়াইলের ভূমিপুত্র বিশ্ববরেণ্য শিল্পী শেখ মোহাম্মদ সুলতানের ঝড়ঝাপটাময় ফেলে আসা জীবনের গল্পে পরিপূর্ণ অতীতের আলোকে পরিণত বয়সে শিল্পীর চিন্তাধারা, ছবি আঁকা, তাঁর দর্শন, জীবনযাপনকে তুলে ধরার একপ্রকার দিনলিপি। এসবের সঙ্গে আমরা পেয়ে যাই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের চিত্র, সংগীতপ্রেম, বাউলদের সঙ্গে তাঁর তুমুল সখ্য, বাঁশিতে সুর তোলা প্রভৃতি। আরো দেখতে পাই – ফসলের মাঠে কৃষকদের সঙ্গে শিল্পীর আলোচনার চিত্র, শিশুশিক্ষায় তাঁর আগ্রহ, প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও প্রকৃতিপ্রেম। এমন অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে পরিপূর্ণ এক সুলতানকে তুলে ধরার অসামান্য প্রচেষ্টা এই প্রদর্শনীতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে এস এম সুলতানের অংশগ্রহণ অনেকের কাছে একটা বিস্ময় হয়ে দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ছিলেন অন্তরালে, প্রায় সবার অলক্ষে যশোর ও নড়াইলে। প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই সৃজনশিল্পী ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হলেন জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে তাঁর আঁকা ‘প্রথম বৃক্ষরোপণ’ জমা দিয়ে। বেশ একটা শোরগোল হলো চারুশিল্পের সদরে-অন্দরে।
জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিল্পী সুলতানকে তাঁর একক প্রদর্শনী করার প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন এবং একাডেমির গ্যালারি ভবনেই বড় বড় ক্যানভাসে আমাদের গ্রামবাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজ ও তার জীবনযাপনের ছবি আঁকতে থাকেন। দর্শনার্থীরা অবাক হয়ে দেখেছেন দেশি-বিদেশি গুঁড়োরঙের মিশ্রণ দিয়ে আঁকা সব ছবির সারিতে গ্রামবাংলার আবহে পেশিবহুল শক্তিমান কৃষক-কৃষাণীর ফসল ফলানো, মাছধরাসহ সন্তান পালন ও অন্যান্য গৃহকাজের নিত্যকার সংগ্রাম।
এই প্রদর্শনী দীর্ঘ বিরতির পর আবার সুলতানকে নিয়ে আসে দেশ-বিদেশের চারুশিল্পের আলোচনার কেন্দ্রে।
এস এম সুলতানের এই একক চিত্রপ্রদর্শনীর পর অন্যদের মতো মামুনও তাঁর পরিচয় জানতে পারেন এবং অন্যান্য বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীর মতো তাঁরও ছবি তুলতে শুরু করেন।
এই প্রদর্শনীতে যেসব ছবি ঝুলেছে এগুলো তিনি তুলেছিলেন গত শতকের সত্তরের দশকের শেষ দুই বছর থেকে আশির দশকের শেষার্ধে, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৭ সালে, তরুণ বয়সে। বেশির ভাগ ছবি সাদাকালোয় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩-তে নড়াইলে তোলা। এত বছর পরেও সাদাকালোয় এমন প্রাণবন্ত ও ডিটেইল প্রিন্ট দেখে বিস্ময় জাগে। এই প্রদর্শনীতে এসব ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত সেই সময়ের ইয়াসিকা বক্স ক্যামেরাটাও দর্শকদের দেখার জন্য প্রদর্শনী হলে সযত্নে রাখা হয়েছে।
সেইকালে মামুন কিছু রঙিন ছবিও তুলেছিলেন। নড়াইলের ভূমিপুত্র সুলতানের প্রতিকৃতি, মাথায় সাদাকালো টুপি ঢাকা দিয়ে তাঁর প্রিয় পোশাক কালো আলখেল্লা, কালো প্যান্ট পরে লালরঙের ঝোলা কাঁধে ঝুলিয়ে চিত্রানদীতে নৌকায় দাঁড়িয়ে থাকা পূর্ণ দেহের ছবি, নদীতীরে সাদা চাদর গায়ে জড়িয়ে থাকা ছবি, মুখ খুলে হাসির ছবিতে দেখা যায় শিল্পীর দন্তহীন অবয়ব!
১৯৮৭ সালে তোলা রঙিন ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঢাকার কলাবাগানের এক বাসায় ড. মফিজুর রহমান, শিল্পী কাজী আবুল কাশেম ও নাসির আলী মামুনের সঙ্গে সুলতান। কাজী মোতাহার হোসেন, কবি আবদুল কাদির, কবি আল মাহমুদ, সুলতানভক্ত লেখক-চিন্তক আহমদ ছফার সঙ্গে ভিন্ন তিনটি ছবিতে দেখা গেল সুলতানকে। কবি জসীম উদ্দীনের সঙ্গেও শিল্পীর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তান, এরপর বাংলাদেশ পর্যন্ত খ্যাতনামা অনেক শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিসেবী ও বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল, এসব ছবি তার প্রামাণ্য!
চলচ্চিত্রকার খান আতা, সাংবাদিক ফজলে লোহানীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির পর লাহোরপর্ব থেকে। ১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ১৩টি প্রদর্শনী, পাকিস্তানের আর্ট সম্পর্কে বক্তৃতা করে ওখান থেকে দেশে ফেরার আগে সুলতান লন্ডনে নামেন ওই বন্ধুদের ভরসায়। ওখানে তাঁদের সঙ্গে নয় মাস ছিলেন এক পাকিস্তানির হোটেলে। হোটেল মালিকের বিল হিসেবে পাউন্ডের সঙ্গে দিয়ে এসেছেন নিজের আঁকা পেইন্টিং!
লন্ডনে কয়েকটি প্রদর্শনীতে অংশ নেন সুলতান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য – ১৯৫১ সালে আর্ট ইকুইটি লন্ডনের উদ্যোগে লেস্টার গ্যালারিতে আয়োজিত হয় একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। দলগত সেই প্রদর্শনীতে পাবলো পিকাসো, সালভাদর দালি, ডাফি, পল ক্লি, অঁরি মাতিস প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীর সঙ্গে তাঁর আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। প্রথম এশীয় চিত্রশিল্পী হিসেবে সুলতান এই বিরল খ্যাতি অর্জন করেন। লিস্টার গ্যালারি তাঁর একটি চিত্রকর্ম স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে। তাঁর আঁকা সে-সময়কার অন্যান্য ছবির হদিস পাওয়া যায়নি!
প্রদর্শনীর ছবিতে ‘ক্যামেরার কবি’ নামে পরিচিত আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুনের দৃষ্টিকোণ থেকে মফস্বল নড়াইলের প্রায় গ্রামীণ আবহে ধারণ করা শিল্পী সুলতানের বিরল এবং অন্তরঙ্গ দৃশ্য সংবলিত দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে নিয়ে এক প্রকার স্থির ডকুমেন্টারি চিত্রিত হয়েছে। এছাড়াও মামুনের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে মূল নেগেটিভ, সুলতানের হাতে লেখা চিঠি, ডায়েরি এন্ট্রি, অঙ্কন এবং অন্যান্য স্মারকসহ বরেণ্য শিল্পীর অনেকগুলো প্রতিকৃতিসমেত তাঁর আত্মমগ্নতার অভিব্যক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই শিল্পকর্মগুলির অনেকগুলি প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশের এই খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীর অসাধারণ জীবনের কতক চিত্তাকর্ষক ঝলক প্রতিফলিত হয়েছে। যেমন – আমরা জানি সুলতান ছিলেন শিশুবান্ধব। প্রকৃতিপাঠের ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য ছবি আঁকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন বলে তিনি যেখানেই গেছেন সেখানেই ছোটদের ছবি আঁকায় উদ্বুদ্ধ করতেন।
মামুনের তোলা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিল্পী সুলতানকে কেন্দ্রে রেখে তাঁর দু-পাশে একদল শিশু, পেছনে নড়াইল জমিদার বাড়িখ্যাত ভিক্টোরীয় স্থাপত্যরীতির দ্বিতল ভবন। শিশুদের সঙ্গে আরো কয়েকটি ছবিতে শিশুপ্রেমী সুলতানকে তাদের কেন্দ্রেই দেখতে পাই। আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বরাবর সবিশেষ আগ্রহ ছিল এই শিল্পী দার্শনিকের।
জমিদারদের পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে আমিও গেছি ১৯৮২ সালে। ওই ভবন ভাঙার আগ পর্যন্ত সুলতান বসবাস করেছেন এবং ছোটদের ছবি আঁকা শিখিয়েছেন। শিল্পীর পালিত কন্যা নীহারবালাকে দেখেছি সন্তানদের নিয়ে ওখানে বাস করতে। শিল্পীর বোহেমীয় জীবনের একপ্রকার অবসান ঘটে সে-সময় পালিত কন্যার যত্ন-আত্তিতে। আমরা নড়াইলে গেলে আমাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘুরেছেন রূপগঞ্জ হাটে। এই হাটে হাটুরেদের ভিড়ে সুলতান হাঁটছেন – এমন একটি ছবিও এ-প্রদর্শনীতে দেখা গেল।
তাঁর জীবনী ঘেঁটে দেখতে পাই, সুলতান এলাকার শিশুশিক্ষার জন্য তাঁর মামাবাড়ি চাঁচুরি পুরুলিয়ায় কৈলাস সিকদার নামে এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গল সাফ করে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নাম দেন নন্দনকানন : দ্য স্কুল অব ফাইন আর্ট। কিন্তু স্কুলটির নামকরণ ও শিক্ষণ পদ্ধতির বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতভেদের জন্য তিনি ওই স্কুল এবং এলাকা ত্যাগ করেছিলেন।
নাসির আলী মামুনের তোলা এমন কতক ছবি আছে যাতে দর্শক দেখতে পাবেন – নতুন সৃজন ভাবনায় নতমুখে মাটির দিকে তাকানো গভীর আত্মনিমগ্ন প্রত্যয়ী শিল্পী সুলতানের প্রতিকৃতি তুলেছেন তিনি তাঁর অসামান্য ধ্যানে তুমুল দক্ষতার আত্মনিবেদনে। শ্রমজীবী মানুষের সৃজনধ্যান অর্থাৎ ইনার স্ট্রেন্থকে সুলতান তাঁর আঁকা ছবিতে তুলে ধরেছেন কৃষক-শ্রমিকের দেহকাঠামোকে মাসলময় শক্তিমানরূপে প্রকাশ করে। ফসল ফলানো কঠোর পরিশ্রমী শীর্ণকায় কৃষক কিংবা উৎপাদক শ্রমিক ও তাদের পরিবার, এমনকি গবাদিপশু – সবার ভেতরকার প্রাণশক্তিকে তিনি চিত্রিত করেছেন হৃষ্টপুষ্ট, পেশিবহুল সুখী-সংগ্রামী জীবনের প্রতীক রূপে। এই শিল্পদর্শন ও তাঁর বিবাগীজীবন নিয়ে তিনি কিংবদন্তিতুল্য এক অসামান্য সৃজন-চরিত্র হিসেবে সবার চেনা। তাঁকে বুঝতে হলে তাঁর শিল্পদর্শনকে আগে বুঝতে হবে আমাদের।
সযত্নে সংরক্ষণ করায় সেই আশির দশকে নাসির আলী মামুনের তোলা ছবিগুলো নতুনের মতো, মনে হয় যেন এগুলো সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি! মনে হয় নড়াইলে গেলেই যেন আমরা পেয়ে যাব তার শ্রেষ্ঠ সন্তানটিকে!
এই উপলক্ষে, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এবং এইচএসবিসি বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘সিডিং দ্য সোল’ শিরোনামে ১৬০ পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে – এখানে সুলতানকে কেন্দ্রে রেখে মামুনের তোলা ছবিকে সম্পর্কিত করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা লিখেছেন অধ্যাপক শাহমান মৈশান। মামুন নিজেও লিখেছেন।
প্রদর্শনী হলের অভ্যন্তরে ছোট এক কক্ষে শিল্পী সুলতানের বাজানো বাঁশির শব্দ শুনে ঢুকে দেখি তিনি বাঁশি বাজাচ্ছেন, কথা বলছেন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সঙ্গে। এখানে সুলতানের বাঁশি বাজানোর একাধিক ছবিও দেখতে পাই আমরা।
সব মিলে শিল্পের সুলতানকে জানতে ও বুঝতে হলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ডকুমেন্টেড প্রদর্শনী। প্রতিদিন অনেক বিশিষ্টজন এসে দেখছেন, ছবি তুলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার আগামী প্রদর্শনীর জন্য রসদ তুলে নিচ্ছেন।
‘শতবর্ষে সুলতান’ ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোববার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেঙ্গল শিল্পালয়, বাড়ি ৪২, রোড ২৭, ধানমন্ডিতে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.