বাংলা ভাষা অনুশীলনের আয়না

শ্যামল কান্তি দত্ত
প্রবন্ধ মননশীল সাহিত্য হলেও কোনো কোনো বাংলা প্রবন্ধ পড়লে মনে হয় যেন ধারাবাহিক ঘটনার বর্ণনা, নতুন কিছু বলার নেই তবু গদ্যে কিছু লেখা হয়েছে, যা লেখক প্রত্যক্ষ করেছেন। আবার কোনো প্রবন্ধ পড়তে গেলেই মনে হয় – এ তো নতুন কথা, এতদিন তো কেউ এভাবে বলেনি; এমনটা তো হতেই পারে। মোহাম্মদ আজম সেই নতুন কথা বলার প্রাবন্ধিক-গবেষক। তাঁর সব সিদ্ধান্তে সবাই সমর্থন না করলেও যুক্তিগুলো চমকে দেওয়ার মতো – পাঠককে চিন্তার জগতে অবগাহনের আহবান জানায় অবিরাম। বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার গ্রন্থে তিনি বাংলা ভাষা চর্চার সমাচার জানিয়ে থামেননি, সেই অনুশীলন অধ্যয়ন করে বা বাংলা সমাচার সমঝে পাঠককে নতুন বন্দরের ঠিকানাও বাতলে দেন – উপায় উলেস্নখ করেন সে-লক্ষক্ষ্য পৌঁছানোর।
বইয়ের সূচনাপত্রেই তিনি পাঠককে দেখিয়ে দেন আমাদের সমস্যা : ‘একটা আস্ত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের চোখের সামনে মাতৃভাষা আন্দোলন হয়ে উঠল। আমরা বিশেষ আপত্তি করলাম না। অথচ মাতৃভাষায় কথা বলায় আর সাহিত্য করার ব্যাপারে কোনো পক্ষই কখনো আপত্তি তোলেনি। … সংকীর্ণ শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজিকে আশ্রয় করে আর জাতীয়তাবাদী আবেগ রক্ষার দায়িত্ব বাংলার হাতে সোপর্দ করে আমরা ছায়ার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি।’ পরিশিষ্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ এবং নিজের একটি সাক্ষাৎকার ছাড়াও গ্রন্থে রয়েছে বাংলা ভাষাবিষয়ক আটটিগবেষণা-প্রবন্ধ। বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বি-উপনিবেশায়ন নিয়ে পিএইচ.ডি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপকের প্রবন্ধগ্রন্থের সূচনা প্রবন্ধ : ‘বাংলা ব্যাকরণ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ’। এই প্রবন্ধে তিনি প্রত্যক্ষ করেন : শ্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী প্রমুখের ‘প্রগতিশীল চর্চা যদি অব্যাহত থাকত, তাহলে বাংলা ব্যাকরণের বহুকাঙিক্ষত প্রগতি ইতিমধ্যেই অর্জিত হতো। কিন্তু বিশ শতকের তৃতীয় দশকে নতুন সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই প্রগতি রুদ্ধ হয়। সংস্কৃতায়নের বেশে বাংলা ব্যাকরণের ঔপনিবেশিক মডেল আবার রাজত্ব করতে থাকে।’ বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য : বাংলা ভাষার ‘সংস্কৃত’ ও ‘প্রাকৃত’ অংশকে আলাদা কোটায় রেখে দেওয়ায় ‘মানবাংলার’ স্বাধীন-সার্বভৌম ব্যাকরণের দাবি – এ-ব্যাকরণেও পূর্ণ হয়নি। তা ছাড়া ‘প্রমিত’ বাংলার সংকীর্ণতাও রবীন্দ্রনাথ-প্রস্তাবিত ‘বৈজ্ঞানিক ব্যাকরণে’র বিরোধী। তাই তাঁর প্রস্তাব – ‘রবীন্দ্রনাথের ভাষাবিষয়ক রচনার সমন্বিত পাঠেই এসব সংকট নিরসনের দিশা আছে।’
‘বাংলা বানান প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধে দেখা যায় : ব্যুৎপত্তি নয়, ব্যবহার ও উচ্চারণই রবীন্দ্রনাথের বানান নির্ধারণের লক্ষ্য। মোহাম্মদ আজম দেখান যে, বাংলা বানান পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল থেকে গেছে ব্যুৎপত্তি অনুসারী আর উচ্চারণ অনুসারী – এ দুইয়ের মিশ্রণের কারণে। ‘তৎসম’ শব্দের জন্য এক বিধি আর অন্য শব্দের জন্য অন্য বিধি প্রণয়নের ফলে জটিলতাও বেড়েছে, বিশৃঙ্খলাও বেড়েছে। তাঁর আক্ষেপ অপ্রকাশিত রাখেননি : বাংলা বানানবিধি প্রণেতাগণের – ‘আর কেউ রবীন্দ্রনাথের মতো করে বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন-প্রক্রিয়ার খোঁজ নেননি। পুরনো বানানের নজির হিসেবে উপনিবেশপূর্ব বাংলা আর প্রাকৃত-অপভ্রংশের দ্বারস্থ হননি।’ ‘প্রমিত বা মান বাংলা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ : ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা’ প্রবন্ধে তিনি রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন উদ্ধৃতি ব্যবহার করে দেখিয়েছেন – একে বলা যায় ‘মানভাষার রাজধানীতত্ত্ব’ এবং এই তত্ত্বের আলোকে বাংলাভাষার দুই রাজধানীতে দুরকম বাংলার কথা ইঙ্গিত করেছেন। অথচ এ-প্রবন্ধেই রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি আছে : ‘যে দক্ষক্ষণী বাংলা লোকমুখে এবং সাহিত্যে চলে যাচ্ছে তাকেই আমরা বাংলা বলে গণ্য করব।’ এখানে স্পষ্ট রবীন্দ্রনাথ কেবল রাজধানীবাসীর মুখে চালু ভাষার কথাই বলেননি, ‘শক্তিশালী সাহিত্যিকতত্ত্ব’কেও স্মরণে না রাখলে তাকে খ–তভাবে উপস্থাপন করা হবে এবং আগ বাড়িয়ে বাংলা ভাষাকে দ্বিখ–ত করা হবে বলে মনে হয়। ‘ঢাকার প্রমিত বা মান বাংলার সংকট’ প্রবন্ধে তিনি স্পষ্ট করে বলেন : ‘ঢাকার প্রমিত বাংলা কলকাতার প্রমিত বাংলা থেকে আলাদা।’ এখানেও তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘রাজধানীতত্ত্বে’র দোহাই দেন এবং ‘সাহিত্যিকতত্ত্ব’ এড়িয়ে যান। অর্থাৎ শক্তিশালী সাহিত্যিকের আবির্ভাব ছাড়া যে ঢাকার ভাষার আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সে-কথা বলেন না। যদিও প্রবন্ধের এক অংশে বলেন, ‘চালু শব্দ ভালো নয়’ – এই কুসংস্কার ঢাকার শিক্ষিত সমাজের খারাপ গদ্য লেখার অন্যতম কারণ। তাঁর এই ‘খারাপ গদ্য’ই যে ‘সাহিত্যিকতত্ত্ব’ বা সাহিত্যিক গদ্যের আকাঙক্ষা সে-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভাষাবিজ্ঞানের তত্ত্বের এমন খ–ত প্রয়োগই ঢাকাইয়া চালু বাংলার বিশৃঙ্খলার মূল বলে আমাদের মনে হয়। এখানে একদিকে আমরা ‘বইমেলা’ বাদ দিয়ে ‘গ্রন্থমেলা’ লিখছি, অন্যদিকে ‘সুদ’কে পাঠ্যবইয়ে ‘মুনাফা’ লিখছি। তবে আজম যথার্থই বলেন : ‘শুধু ভাষাপ্রেমের দোহাই বা নিয়ন্ত্রণের হুমকি এই বিশৃঙ্খলা দূর করতে পারবে না।’
‘একুশের চেতনা ও শিক্ষার মাধ্যম : বাংলা বনাম ইংরেজি’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক দেখান যে, বাংলাদেশে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠা ঘটেছে। এদেশে রাষ্ট্রভাষা বাংলা পিছিয়ে পড়ার কারণ তিনি যথার্থই মনে করেন : রাষ্ট্র দেশীয় চাকরির বাজার-ব্যবস্থাপনায়ও গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা পেশ করতে পারেনি। এখানে রবীন্দ্রনাথের ভাষাশিক্ষা প্রসঙ্গ না এনে তিনি বর্তমান বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে দেখান যে, বাংলাদেশের মতো ভাষা রপ্ত করার জন্য খোদ শিক্ষাটাকেই কোথাও বদলে ফেলা হয়নি। তবে তিনি আশার বাণী শোনান : বাংলা প্রায় ২৫-৩০ কোটি লোকের ভাষা। বাংলাভাষীদের নিজেদের বাজারই যথেষ্ঠ বড়। সুতরাং, পরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ বাংলা ভাষার বাজারদর তথা মান বাড়াতে পারে। ‘বাংলা ভাষাচর্চার ‘মূলধারা’য় মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক স্মরণ করেন : ‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় আর গ্রিয়ার্সনের মতের বাইরে গিয়ে শহীদুল্লাহ্ বাংলা-অহমিয়া-উড়িয়ার জন্য আলাদা গোত্রনাম প্রস্তাব করেছিলেন।’ এখানে আজম দেখান যে, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান একটি প্রকল্পনির্ভর বিজ্ঞান। এ-বিজ্ঞানই শহীদুল্লাহ্র সম্বল হলেও প্রচলিত প্রকল্পে তিনি স্বস্তিবোধ করছিলেন না। এই অস্বস্তিবোধ বা অসুখী চৈতন্যই তাঁকে দিয়ে তৈরি করিয়ে নিয়েছে তাঁর স্বতন্ত্র প্রকল্পগুলো। একেই প্রাবন্ধিক আখ্যা দিয়েছেন – ‘অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা’। এর উৎস সন্ধানের প্রয়াসই আলোচ্য প্রবন্ধ।
‘ব্যাকরণের সদর আর অন্দর’ মূলত শিশির ভট্টাচার্য্য-রচিত অন্তরঙ্গ ব্যাকরণের (২০১৩) গ্রন্থ-আলোচনা। অথচ প্রবন্ধ কিংবা গ্রন্থশেষের ‘গ্রন্থপঞ্জি’তে কোথাও গ্রন্থটির প্রকাশকাল বা প্রকাশনা সংস্থার নাম-ঠিকানার উলেস্নখ নেই। তবে গ্রন্থকার সম্পর্কে তাঁর নির্মোহ মন্তব্য : ‘শিশির ভট্টাচার্য্য বাংলা ও সংস্কৃতের বৈধ সীমানা মাঝেমধ্যেই ভেঙে ফেলেন। … পরিভাষা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অচেনা সংস্কৃত শব্দের প্রতি তাঁর বাড়াবাড়ি রকমের প্রীতি আছে। … এসব ব্যাপারে আমার কাছে হুমায়ুন আজাদকে দুর্দান্ত মনে হয়।’ প্রবন্ধের উপসংহারে লেখক ঢাকায় তথা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ভাষাচর্চার আশঙ্কাজনক অবস্থা বর্ণনা করে লেখেন : ‘ভাষা-উৎসাহীদের গরিষ্ঠাংশ ভাষাবিজ্ঞানে অশিক্ষিত, আর ভাষাবিজ্ঞানীদের মধ্যে ভাষার ব্যাপারে আগ্রহ বিশেষ দেখা যায় না। শিশির ভট্টাচার্য্য বিরলদের একজন, যাঁর মধ্যে দুয়ের সমন্বয় ঘটেছে।’ ‘বাংলা অভিধানচর্চার প্রগতি ও প্রতিক্রিয়াশীলতা : বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান’ এটিও মূলত গ্রন্থ-আলোচনা। এখানে তিনি বিস্তর উদাহরণসহ যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে দেখান যে, আলোচ্য অভিধান ‘আধুনিকতার নামে পশ্চাৎপদ চর্চার এক শোচনীয় উদাহরণ।’ আজম অভিযোগ তোলেন, ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে আছে অথচ এ-অভিধানে শব্দের উৎসনির্দেশে ‘বাদ পড়েছে আরবি-ফারসিজাত শব্দগুলো’। এটা খুব একটা শোভন হয়নি – সত্য; তবে এর উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো জোরালো যুক্তি হতো। পরিশিষ্ট ১-এ ‘ভাষা গণতান্ত্রিকতার পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অস্ত্র’ শিরোনামে নিজের সাক্ষাৎকারে লেখকের আক্ষেপ প্রকাশ পায় : ‘আমাদের মান উচ্চারণে ঢাকার উচ্চারণকে একেবারেই আমলে আনা হয়নি। ফলে আসলে এটা মান উচ্চারণ হয়নি। এই কাজ এখনো বাকি আছে।’ এখানে স্পষ্ট হয় লেখকের লক্ষ্য – ঢাকার ভাষাকে মান বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কেননা তিনি মনে করেন যে, ‘প্রমিত’ স্থির করা হয়েছিল কলকাতায় এবং কলকাতার ভাষাকে কেন্দ্র করে। ওই বস্ত্ত ঢাকায় স্রেফ উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। আজম তাঁর অবস্থান আরো স্পষ্ট করতে বলেন : ‘ভাষার শুদ্ধ-রূপ চাই না। চাই দশের অংশগ্রহণে তৈরি হওয়া দশের মেনে নেওয়া রূপ। চাই গণতান্ত্রিকতা।’ তাই এই ভাষা-গবেষকের প্রত্যাশা : তিন শত্রম্নমুক্ত ভাষা পরিস্থিতি। তাঁর ভাষায় বাংলার প্রধান শত্রম্ন : ‘যুক্তির জায়গায় আবেগ, উপযোগিতার জায়গায় ঐতিহ্য, সর্বাঙ্গীণ ব্যবহারের তুলনায় সাহিত্যিক এলিট রূপের প্রাধান্য।’ পরিশিষ্ট ২ : ‘মুখের বাংলা ও লেখার বাংলা’ মূলত ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্যালকাটা রিভিউয়ে প্রকাশিত শ্যামাচরণ গাঙ্গুলি-রচিত ইংরেজি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ; সঙ্গে সংক্ষিপ্ত একটি ভূমিকা এবং সেই প্রবন্ধ সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের সমালোচনার জবাব। বাংলা ভাষাচর্চাকারী মননশীল পাঠকের কাছে এ এক বাড়তি পাওয়া।
চমৎকার অফসেট কাগজে ঝকঝকে ছাপা আর মজবুত-নান্দনিক বাঁধাইয়ে বইটির স্টাইলশিট ও বিদেশি রীতির আক্ষরিক অনুকরণ এড়িয়ে, বাঙালি রীতি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন – ঠাকুর, চৌধুরী, আজাদ ইত্যাদি না লিখে লেখা হয়েছে বাংলা ডাকনাম – রবীন্দ্র, প্রমথ, হুমায়ুন প্রমুখ। তবে প্রবন্ধের স্টাইলশিটে গ্রন্থের প্রকাশকাল লিখতে বাংলা অব্দ ও খ্রিষ্টাব্দের মিশ্রণ এড়ানো যেত। সর্বোপরি, (মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১৯৯৫ : ১৪৮) এমন না লিখে (শহীদুল্লাহ্ ১৯৯৫ : ১৪৮) লিখলে আরো যৌক্তিক-নির্মেদ স্টাইলশিট হতো বলে আমাদের মনে হয়। তবু এ-গ্রন্থের পাঠক খুঁজে পাবেন – আবেগনির্ভর অন্ধ ভাষাপ্রেমে আপস্নুত না হয়ে ভাষাতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ভাষার প্রধান শত্রম্ন চিহ্নিত করেছেন মোহাম্মদ আজম। বাংলা ভাষার সংকট ও তা সমাধানের পথরেখা আঁকতে পেরেছেন অধীত অভিজ্ঞতার আলোকে। এতে করে বাংলা ভাষা ও বাঙালির সম্ভাবনা সম্পর্কে গভীর বিশ্লেষণ এ-গ্রন্থের পাঠককে বিমুগ্ধ করবে, ভাষার বিশুদ্ধতাবিষয়ক কুসংস্কার দূর করবে, আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাভাষীর কুণ্ঠা কাটাবে – এ-কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।