ভাষা শিক্ষা ও সাহিত্য ভাবনার খোরাক

আশফাক খান

শফিউল আলম – বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ ও গবেষক। লেখালেখির শুরুটা কবিতা-গল্প দিয়ে হলেও নিরীক্ষাধর্মী, বিশেষত ভাষা, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক, প্রবন্ধ রচনাতেই এখন থিতু তিনি। সুললিত ও মেদবর্জিত লেখনীতে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি গুণিজনের মতামত বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রবন্ধ এগিয়ে চলে। পঁচাত্তর বসন্ত পেরোনো এ গুণী ব্যক্তিত্বের গ্রন্থ প্রবন্ধসমুচয় প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে, যেখানে ঠাঁই করে নিয়েছে শিক্ষা-ভাষা-সাহিত্যসহ অন্যান্য বিষয়ে অর্ধশত প্রবন্ধ। কর্মজীবনে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বিভাগে দায়িত্বশীল পদে থাকায় তাঁর লেখনীতে শিক্ষার গুরুত্ব ও ভাষার ব্যবহারে নানা নিয়মনীতি-পশ্চাৎপদতা-বাধাবিপত্তি এবং সাহিত্য-সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে এর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন তিনি। গ্রন্থটি খুব বেশি পরিচিতি না পেলেও এর বিষয় এবং আলোচনার গুরুত্বে যে অনন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
‘পঞ্চাশের দশকে দৈনিক আজাদের মুকুলের মহফিল-এ পরপর দুটি গল্প লিখে একজন গদ্য লিখিয়ে হিসেবে লেখার জগতে প্রবেশ ঘটে আমার। তারপর আরও গল্প বেরোয় সে-সময়কার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা বিভাগের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘পাকিস্তানি খবর’ পত্রিকায়।’ গ্রন্থের ভূমিকার শুরুতে এভাবেই সাহিত্য বা লেখালেখি জগতের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার কথা বেশ সুন্দর-সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন শফিউল আলম। সোয়া এক পৃষ্ঠার এ-ভূমিকার শেষের দিকে জানা যায় কেন তিনি শেষ পর্যন্ত প্রবন্ধ লেখার প্রতিই বিশেষভাবে ঝুঁকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘… তারপর নানা সময়ে নানা উপলক্ষ্যে্য প্রবন্ধ লেখা শুরু করি। বিশেষত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য সূচি প্রণয়ন কেন্দ্রে চাকরি করার সুবাদে। তারপর তো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ হিসেবে যখন যোগ দিই ১৯৮৪ সালে তখন আমার পেশাগত ও শিক্ষা বিষয়ে প্রবন্ধ লেখায় স্থিত হয়ে পড়ি। এভাবে গল্প লেখা, কবিতা রচনার পথ থেকে সরে এসে বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে প্রবন্ধ লিখি শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে।’ তবে গল্প-কবিতা থেকে দূরে সরে এলেও তাঁর লেখা হয়ে ওঠেনি
শুষ্ক-খড়খড়ে, বরং প্রবন্ধসমুচয় প্রথাবদ্ধ প্রবন্ধের বাইরে গদ্যভাষার এক নিটোল সৌকর্যের পরিচায়ক।বাংলা ভাষা ও সব ক্ষেত্রে এর প্রচলন সম্পর্কে প্রবন্ধকারের ভাবনা বেশ স্পষ্ট। গ্রন্থভুক্ত বেশ কিছু প্রবন্ধে তিনি বাংলা ভাষার মান নিয়েও বলেছেন। একটি সুসম্পন্ন ভাষানীতি প্রশ্নে তিনি তুলে এনেছেন বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের চুম্বক অংশ। মূলত শিক্ষা বিভাগে কর্মের সুবাদে তাঁর এ-পর্যালোচনা ও গবেষণা যে বেশ যুক্তিযুক্ত ও সুবিসত্মৃত, তা সহজেই অনুধাবনীয়।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন ইংরেজি ভাষার যে-কদর সেখানে বাংলা একরকম অবহেলারই পাত্র। কিন্তু ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য যে-আন্দোলন সূচিত হয়েছিল যা বাঙালি জাতীয়তাবাদের জাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে। অথচ সুদীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আমরা এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষানীতি প্রণয়ন করতে পারিনি।’ (পৃ ২৫) এই না-পারাটা যে বিশাল এক ব্যর্থতা তা আজকের ইংরেজি ভাষায় ব্যয়বহুল শিক্ষাগ্রহণে সর্বস্তরে সৃষ্ট তীব্র আকাঙক্ষাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। চিন্তার বিষয় হলো, সমাজের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ এ সুবিধাভোগী। অন্যদিকে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, যারা গতানুগতিক সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করার প্রয়াসী, তাদের সন্তানেরা আদতে সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে কিনা, তাও নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। এতে নবীন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষা তথা স্বাধীনতা-স্বকীয়তার ভিত্তি কতটা দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হবে সে-প্রশ্নও থেকে যায়। এক্ষেত্রে নিজের মতামত নয়, তিনি উলেস্নখ করেছেন বিভিন্ন সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ কবি-সাহিত্যিক ও গুণিজনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসার বিষয়ে তাঁদের ভাবনা। তুলে ধরেছেন শিক্ষা কমিশনকৃত বিভিন্ন সময়ে প্রণীত নানা নীতিমালা ও কর্মসূচি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘পুরনো শিক্ষার পরিবর্তে আপাতত নতুন শিক্ষা’ নয়, বরং ‘ঠিকভাবে হয়ে ওঠার শিক্ষা’র প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং ছাত্র-প্রীতিবোধের শিক্ষার প্রসঙ্গ। তবে সব কথার শেষ কথা হলো একটি রাষ্ট্রীয় ভাষানীতির আবশ্যিকতা। সে বিষয়ে তাঁর অভিমত, ‘বাংলা ভাষা একদিকে মাতৃভাষা, রাষ্ট্রভাষা, জাতীয় ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যমের ভাষা – এই বহুমাত্রিক রূপ রয়েছে, তবু তার জন্য কোনো ভাষানীতি বা language policy এ পর্যন্ত প্রণীত হয়নি। তাই একুশ শতকের এই প্রথম একুশ ফেব্রুয়ারিতে
আমাদের দাবি – সর্বস্তরে বাংলা চাই, রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ভাষানীতি চাই।’ (পৃ ২৫)
ভাষা-শিক্ষার মতো দৃশ্যত রসকষহীন বিষয় ছাড়াও শফিউল আলমের গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের দিকপালদের বিভিন্ন রচনা নিয়ে নিবন্ধ। এর মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের মালঞ্চ ও চতুরঙ্গ উপন্যাস নিয়ে বিশ্লেষণ। মালঞ্চে রবীন্দ্রনাথ যে মানবমনের জটিল অলিগলিতে বিচরণ করেছেন তা বলাই বাহুল্য। তিনটি কেন্দ্রীয় চরিত্র – নীরজা, আদিত্য ও সরলা। এদের মধ্য দিয়ে প্রেম-ভালোবাসার দ্বন্দ্ব, পাওয়া না-পাওয়ার বেদনা, ঈর্ষা, সন্দেহ – এমন নানামুখী বিষয়কে নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথ। এ-উপন্যাস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানাজনের নেতিবাচক মনোভাব এবং সে-সম্পর্কে বিদগ্ধজনের আলোচনাও তুলে এনেছেন শফিউল আলম। উদাহরণত, এ-উপন্যাসের ত্রম্নটি ও সামঞ্জস্যবোধের সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ভাষ্য, ‘রবীন্দ্রনাথের শেষের দিকের উপন্যাসগুলির মধ্যে প্রতিটি অংশের অঙ্গাঙ্গি সংগতি যাঁরা খুঁজেছেন, ভুল বুঝেছেন। … ‘মালঞ্চ’ উপন্যাসের ত্রম্নটি হয়তো এখানে যে তার মিতাখ্যান সংযম পাঠকের বিশ্বাস উৎপাদনের পথে যতটা সময় প্রয়োজন তার চেয়েও কম সময় নিয়েছে।’ শফিউল আলম প্রবন্ধটির শেষদিকে নিজের মতামত দেন এভাবে – ‘মালঞ্চ’ রবীন্দ্রনাথের শেষ বয়সে রচিত ক্ষুদ্রাবয়ব উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সামগ্রিকভাবে তাঁর রচিত সব উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম উলেস্নখযোগ্য উপন্যাস।’
(পৃ ১৬১) একইভাবে চতুরঙ্গ উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ ও চরিত্রসমূহ বিশ্লেষণে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন শফিউল আলম।
প্রবন্ধসমুচয়ে স্থান করে নিয়েছে বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস শ্রীকান্ত, গৃহদাহ ও পথের দাবী নিয়ে তিনটি মনোমুগ্ধকর আলোচনা। শ্রীকান্ত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এ-উপন্যাসের পূর্বাপর বিশ্লেষণে বিশেষ মনোযোগী ছিলেন প্রবন্ধকার। চার পর্বের এ-উপন্যাস বিশ্লেষণশেষে লেখকের অভিমত, উপন্যাসটির প্রথম পর্ব ‘আত্মজীবনী ও ভ্রমণকাহিনির আদলে লেখা’; দ্বিতীয় পর্বে আছে ‘ভ্রমণকাহিনির অপূর্ব স্বাদ’ ও ‘বিদ্রোহী নারীকণ্ঠ’; তৃতীয় পর্বে ‘কাহিনি এক চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে এবং নাটকীয় পরিণতির অপেক্ষায় চঞ্চল হয়ে উঠেছে’; এবং চতুর্থ পর্ব ‘প্রধানত কমললতা ও গহরের বৈষ্ণবীয় প্রেমকাহিনিতে শস্নথ ও মন্থর’। গৃহদাহ – শরৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে বাংলা সাহিত্যে স্থান করে আছে – সে-বিষয়টিরই পুনরুক্তি করেছেন প্রবন্ধকার তাঁর ‘পিউরিটান শরৎচন্দ্র : গৃহদাহ’ প্রবন্ধে। ধরে ধরে এ-উপন্যাসের চরিত্র-বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। দেখিয়েছেন জটিল মনস্তত্ত্ব রূপায়ণে শরৎচন্দ্রের মুনশিয়ানা। অন্যদিকে পথের দাবী নিয়ে রয়েছে প্রবন্ধকারের দ্বৈত মনোভাব। তাঁর ভাষায়, ‘পথের দাবী’তে কল্পনা-সমৃদ্ধি, গঠনকৌশল ও রচনা নৈপুণ্যের পরিচয় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে, এ-উপন্যাসে সর্বাত্মকভাবে অনেক সময় আর্টের দাবি মেটেনি। কাহিনি পরিকল্পনায় শরৎচন্দ্র যে চমৎকার অসম্ভাব্য কাহিনির আশ্রয় নিয়েছেন তাতে এ উপন্যাসের শিল্পসার্থকতা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে।’
কাজী নজরুল ইসলাম – বাঙালির হৃদয়ে যাঁর স্থান অতিউচ্চে। বিদ্রোহী, প্রেমিক, বিরহী ইত্যাদি নানা বিশেষণে ভূষিত নজরুল। স্বল্পায়ু সাহিত্যজীবনে তাঁর লেখা অসংখ্য গান, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, নিবন্ধ ঋদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্যকে। তাঁর রচনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুটি প্রবন্ধ রয়েছে এ-গ্রন্থে। ‘বাংলার জয় হোক, বাঙালির জয় হোক : নজরুল’ নিবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের দূরদৃষ্টি, দেশপ্রেম ও ভবিষ্যৎভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন শফিউল আলম। পরাধীন ভারতে জন্মেও নজরুল বিশ্বাস করতেন, একদিন এই ভারতবর্ষ মুক্ত হবে ইংরেজদের শাসনশিকল থেকে। সেই বিশ্বাস যে ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে তা ইতিহাসেই স্পষ্ট। সেজন্য নজরুলকে ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা’, ‘কালোত্তীর্ণ কবি’ বিশেষণে অভিষিক্ত করতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি প্রবন্ধকার। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মকালেও নজরুল ছিলেন প্রেরণার অন্যতম উৎস। তাঁর ভাষায়, ‘১৯৭১ সালের বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে কবি নজরুল ছিলেন যেন এক নেপথ্যচারী অধিনায়ক – যাঁর কবিতা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের করেছে প্রাণোচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা, জুগিয়েছে অমিত সাহস ও প্রেরণা।’ নজরুলের এই বিদ্রোহী চেতনার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত হলেও তাঁর শিক্ষাভাবনা সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। সেই বিশেষ দিকটিতে শফিউল আলম আলোকপাত করেছেন ‘নজরুল : তাঁর শব্দ ও শিক্ষাভাবনা’ প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে। কবি নজরুলের ভাবনার সূত্র ধরে বলা যায়, পারস্পরিক সম্প্রীতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিক্ষাই মূল শিক্ষা।
হিন্দু-মুসলমান দুই সংস্কৃতির মেলবন্ধন ছাড়াও ‘হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্যকে, কুরআন-পুরাণের বাণীকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে ‘বাঙালির জয় হোক’ বলে প্রার্থনা করেছিলেন নজরুল।’ এখানেই থেমে থাকেননি নজরুল, তিনি স্বাধীন বাঙালি জাতির তরুণদের শিক্ষা-পদ্ধতি কী হবে তার একটি রূপরেখাও দেন – ‘আমরা চাই, আমাদের শিক্ষা-পদ্ধতি এমন হউক, যাহা আমাদের জীবনী শক্তিকে ক্রমেই সজাগ, জীবন্ত করিয়া তুলিবে। যে-শিক্ষা ছেলেদের দেহ-মন দুইকেই পুষ্ট করে, তাহাই হইবে আমাদের শিক্ষা।’ শিক্ষা সম্পর্কে নজরুলের এই যুগোত্তীর্ণ ভাবনাকে সঠিক সময়ে বিসত্মৃত পরিসরে তুলে ধরার জন্য শফিউল আলম ধন্যবাদার্হ।
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-শরৎচন্দ্রের মতো গ্রন্থটিতে আরো রয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্ত্রীশিক্ষাবিষয়ক প্রবন্ধাবলি ও তাঁর শিক্ষকতা নিয়ে আলোচনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আবুল ফজল, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখের শিক্ষাভাবনা, শিক্ষা-পরিকল্পনা এবং এ-সম্পর্কিত গুণিজনদের বিশ্লেষণ। পাশাপাশি নিজের মতামতও সযত্নে পাঠকদের সামনে পেশ করেছেন শফিউল আলম। তিনটি প্রবন্ধ লিপিবদ্ধ হয়েছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ও তাঁর সাহিত্যকৃতি লালসালু নিয়ে। এছাড়াও নানা স্বাদের প্রবন্ধসমৃদ্ধ এ-গ্রন্থ পাঠকের ভাবনাজগৎকে প্রসারিত করবে নিঃসন্দেহে, জোগাবে নতুন করে ভাবনার খোরাক।