বাবেলের থেকে দূরে – বহুদূরে

হিথরোতে দেখা হলো তার সাথে রেস্তোরাঁর খাবার টেবিলে

কথা হলো ভাঙা ফরাসিতে – দুজনেই যেন এইমাত্র

এসে গেছি বাবেলের অসমাপ্ত ভাঙা দুর্গ থেকে –

কেউ কারো ভাষাও জানি না –

মেয়েটির মুখচোখ আশ্চর্য ধারালো –

হয়তো উঠেছে বেড়ে একালের দ্রুতগতি

জঙ্গম জীবনের স্রোতে কোনো পুঁজির প্রাসাদে,

আমি তার নীল চোখে চাই, দেখি এক আদিম অরণ্য

যেন গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে সেই চোখের তারায়;

কিছুটা ভেজা ভেজা – কিছু-বা পচা গন্ধের দোলা,

তবে মহার্ঘ্য কড়িতে কেনা ফরাসি সৌগন্ধ সেই

দুর্গন্ধ ঢেকেছে;

ভাঙা ফরাসিতে কথা বলি তার সাথে – কণ্ঠে তার

পরিশীলনের দ্যুতি, বুদ্ধির দারুণ দীপ্তি যেন

ঝকঝক করছে সেখানে; মনে হলো কিছুটা স্যাটায়ারিক

নাকি তাকে সিনিক বলাই ভালো হবে?

তবে যে যাই বলুক সবাই এসেছি নেমে ঈশ^রের আদিম

সেই বন্দিশালা থেকে – সবাই যাকে ইডেন নামেই জানে;

কথা শেষ হলো – দ্রুত পৃথিবীতে বিমান ধরার তাড়া

তাকে তুলে নিল দৃশ্য থেকে; বাবেলের দুর্গ হলো না,

আমরা সব ছড়িয়ে পড়েছি – ভুলে গেছি একে অন্যের ভাষা

কাউকে কেউ চিনি না – জানি না।