মাধবমালঞ্চ কাব্য

বর্ষার খবর মাছেরা আগে থেকে টের পেয়ে যায়

কলমি শালুক মালঞ্চ শাপলা সতেজ হয়ে ওঠে।

শান্ত পুকুরের জলে খুশিতে খয়রা খায় – সরপুঁটি

মাছেরা বেরিয়ে আসে কচুরির দীঘলকেশ থেকে।

মোল্লাবাড়ির বালিহাঁস প্যাক্ প্যাক্ শব্দে ঘরে ফেরে।

মেঘের গুড়ুম গুড়ুমে ঘাটে আসে মাধবমালঞ্চ কন্যা

পিরিতের চিন্তা ছড়িয়ে পড়ছে – বিলপার সবুজ দিগন্তে

চারধার কালা হইয়া আসে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যায়

ভেতরের তিনি তিড়িং-বিড়িং ফাল পাড়ে, কী সে জ্বালা?

আষাঢ়ে দেওয়া ঝিরঝির শব্দে মাছেরে বোলায়

কন্যার মুখ, ঠোঁট, চিবুক, ডৌল সব ভিজে যায়।

কার্পাস তুলোর মতো মাধবমালঞ্চ কন্যা নরম হয়ে ওঠে –

মানুষটা তার বিয়ানবেলা বেরিয়েছে এখনো ঘরে ফিরল না!

মইশাল বাতাসের তুফান বেগ

         পিরিতের মানুষের কষ্ট

                   মনের মানুষের জন্য প্রতিক্ষা।

মাধবমালঞ্চ কন্যার কান্না ধুয়ে দেয় আষাঢ়ে মেঘ

মায়ার শরীর ভিজে আঙুল ডেবে যায় – জলকাদায়

শাপলা ফুলের মালা গেঁথে সে আপন দুঃখ ভোলায়।

মাধব মনটা তার – পিরিতের দোলনায়

       কন্যা মনে মনে ভাবে –

             মানুষটা কি তার ভেতরের খবর জানে?