শ্রাবণাতিরেক

মলয় ভট্টাচার্য

 

এক

এ মাহ শ্রাবণ আসি কলিজা জুড়াল

গলায় পরাল ফুলমালা

সেসবই এবার

সিন্দুকে তুলে রাখি

নিন্দুকে যা বলে বলুক।

 

যত বলাবলি সবই ধূলিতে লুটায়

বৃষ্টি শুকায়, দৃষ্টি

হয়ে আসে ভঙ্গিভারে নত

রাখাল বালক ঝরাপালক কুড়ায়

দড়ি ছিঁড়ে ওই তার শহর পালাল।

 

এ মাহ শ্রাবণ মুখ ঘরকে ফিরাল

পুড়িল বিরহে পিপীলিকা

মুকুতা আমার তবু রাখি মঞ্জুষায়

এলে পরে সিন্দবাদ

নজরানা দিব।

 

দুই

কী তুমি বাজাও আর

কী-বা আমি শুনি গো দোসর

সে-প্রশ্নে গুজব উঠিল,

আমি তাকে পারিনি থামাতে

শ্রবণবাসনা পাতি শুধুই শুনেছি

শুনে-শুনে হয়েছি বিকল।

 

কী তুমি ভেজাও আর

আমি কত ভিজি অবিরল

সে-পুলকে ময়ূর নাচিল

পোষ তাকে পারিনি মানাতে

আপসে আবিল শুধু গোঙাই-গোঙাই

গহিন হৃদয়গাঙে বিলয় বাজিল।

 

কী তুমি চেনাও আর

কাকে আমি চিনি অগোচর

হাঃ! এ তো নিজেকেই অচেনা ঠেকিল!

তবুও কি পেরেছি মরিতে?

বরং বাঁচিয়া আরো মরেছি, মজেছি

ততদিন

যতদিন আসেনি শ্রাবণ।