দৃশ্যত ভয়ানক একটা কিছু হয়ে যেতে যেতে
এক হ্যাঁচকায় অন্ধকার খাঁড়ির গা থেকে
পিছলে যাওয়া পা-টাকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনলাম।
আমারই বরাতজোরে এ-যাত্রায় বিবশ প্রাণটুকু রক্ষা পেল!
নইলে নিশ্চিত মরণ থেকে
স্বয়ং ঈশ^রও বাঁচাতে পারতো কি না সন্দেহ।
কিন্তু জীবন এ-কোন মোহনবাঁশির সুরে ভোলায় আমাকে?
পাহাড়ে ধস নামলে যেভাবে নিম্নগামী পাথর
পতনোন্মুখ হয়ে পড়ে অথবা স্বভাবী চাতক যেমন
আকাশের কান্না থেকে তৃষ্ণা মেটায় –
আমি মরণটাকে দেখবো বলে তেমনি উন্মুখ হয়ে আছি।
শ্যাওলার বুকে জমাটবাঁধা দুঃখটাকে
ছুঁয়ে দেখবার ইচ্ছেয় ভেতরে কে যেন ঠেলছে আমাকে!
অথচ হাওয়ায় অন্যরকম প্ররোচনা।
শিউলির স্নিগ্ধ সৌরভে আক্রান্ত তার অদৃশ্য ডানা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.