সপ্তপদী

১.

দুই চাকাতে একটি গাড়ি চলে নড়ে বড়ে

বৃষ্টি হয়ে মাটির পথ কাদায় যায় ভ’রে

চলতে গিয়ে গতি অনেক শিথিল হয়ে পড়ে :

তাই না দেখে গ্রামবালিকা হেসেই কুটিকুটি

সেই হাসিতে ভড়কে গেলে বিভুল চোখ দুটি

প্যাঁকের টানে আটকে চাকা কাদায় লুটোপুটি :

চিৎপটাং! চিৎপটাং! হাসে বালিকা একা।

২.

কাক ডাকে যে কা-কা ক’রেই, মোরগ কুক্-কু-রু

এই ভাবেতে সকালবেলায় দিনটি হয় শুরু

চিকন মিয়া ঘুমিয়ে থাকে দু’চোখে ঘুম পুরু;

‘ওরে চিকন, ওঠ রে, বাবা!’ মা ডেকে কন জোরে; 

ঘুম ভাঙে না চিকন দেহে আবেশ থাকে জুড়ে

‘আয় রে উঠে, পান্তা সাথে শুঁটকি খাবি পুড়ে!’

যেই না শোনা তড়াং করে চিকন পড়ে উঠে ।

শহুরে মেয়ে গ্রামে এসেই পুকুরে দেয় ঝাঁপ

পাশেই ছিল কিলবিলানো ঢোঁড়া এক সাপ

চেঁচায় মেয়ে, ‘বাঁচাও মাগো! কোথায় তুমি, বাপ!’

বাপ ছিল না, মা-ও ছিল না কোথাও ধারেকাছে

পুকুর জল ভরাট ছিল হরেক পুঁটিমাছে

আর যে ছিল গ্রামের ছেলে পাড়ের আমগাছে।

লাফিয়ে সে-ই সাঁতরে গিয়ে মেয়েটি আসে নিয়ে।

১৪/১২/২০১৪