সাম্যের পদাবলি

এখানে মেঘের ছায়া কেড়ে নেয় তারাদের জ্বলজ্বলে মুখ

নীড়হারা পাখিরাও অবিশ্রান্ত খুঁজে ফেরে সুখের ঠিকানা

ধানশূন্য ক্ষেত দেখে হাহাকার করে ওঠে বাবুইর বুক,

তথাপি হলুদ চোখে খুঁটে নেয় পড়ে থাকা সবুজাভ দানা।

প্রেতের নগর পাড়ি দিয়ে আবারো যাবো স্বপ্নের নগরে

অলীক নূপুর পায়ে ক্রমাগত নেচে যাবে পাহাড়ি বালিকা …

ধ্যানমগ্ন ঋষি এক চোখে বুঝে গুণে দেবে পাখির তালিকা,

সুখ এসে ঠাঁই নেবে আচানক জলে ভাসা বেদের বহরে।

স্বপ্নের নগর ছুঁয়ে নেচে ওঠে ময়ূরের মায়াবী ঘুঙুর …

মিছিলে মানুষ দেখে অন্ধকারে জোনাকিরা ফিক্ ফিক্ হাসে

আমরাও যুদ্ধহীন পৃথিবীর অন্তহীন সুখ চাই অনন্ত আকাশে,

এমনি এভাবে ভেসে আসে প্রিয়হারা প্রগাঢ় করুণ সুর।

কে পাহাড়ি, কে বাঙালি, এসো আজ খুলে দিই হৃদয়ের খিল

হাতে-হাত, বুকে-বুক, এই দেখে উড়ে যাবে বিভেদের চিল।