পদ্মার তীরে কুমিরের রোদ পোহানো দেখি না বহুকাল।
দক্ষিণ কমলাপুরে গোরস্তানে বাবার কবরে যাবো যাবো করে
চল্লিশ বছর কাটিয়ে দিলাম নানা ব্যস্ততার অজুহাতে।
নীল লাবণ্যের নেপথ্যে অদেখা তোমার
শরীর ক্ষমতা দেখে শালিকের মতো সম্মোহিত হই।
উতরোল উপত্যকা পেরিয়ে তোমাকে নিবিড় কন্দরে
বসুন্ধরার মতো কফিন ভাবতে হলো না আর –
দু-চোখে আমার কাশবন
শাদা বিষণ্নতা।
সমস্ত শরীর ভেঙেচুরে হাতের তালুতে গেছে চলে
কঙ্কালের মতো নিঃসাড় মনটা সাপের মতোই
কুণ্ডুলি পাকিয়ে ঠায় বিছানার মাঝখানে আছে গেঁথে।
হায়, আমি কি মহাজাগরণে থিতু হতে পারবো না আর,
চোখ মেলে প্রকৃতির সবুজ দেখা যাবে না, আকাশের নীল?
সূর্যমুখীর মতো মাথা তুলে অফুরান দিগন্ত দেখবো না?
ফড়িংয়ের মতো উড়ে বেড়াতে পারবো না কেন?
উলঙ্গ শিশুর মতো অলিতে-গলিতে টলোমলো পায়ে
পথের সন্ধান করবো না?
তাহলে কী করবো! মনে মনে আমার ফেলে আসা
একান্ত শৈশবের দিনগুলোতে বিলীন হবো?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.