তৃষ্ণা বসাক

  • ১৪/এ আহিরীপুকুর রোড

    ১৪/এ আহিরীপুকুর রোড

    একরকম হাওয়া দ্যায় রাস্তায় এই সময়। মনে হয় ঋতু বদলাচ্ছে। কোথাও কি একটা শব্দ হলো? জুবিলি শো হাউসে যখন বিস্ফোরণ হয়েছিল, এখান থেকে শোনা গিয়েছিল সে-আওয়াজ। বেড়ালছানাগুলি কিছু বোঝে না, খালি ছটফট করে। মাজাভাঙা পলাশ গাছটায় লাফ দিয়ে উঠতে চায় ওরা। এই পলাশ গাছে কোনোদিন ফুল ফুটবে না, ওরা জানে না। এই সময় মিরপুরের দক্ষিণ…

  • সিটি স্ক্যান

    সিটি স্ক্যান

    এখানে কি নদী আছে? এত বালু উড়তাসে, কুথা থিকা জলের গন্ধ পাইতাসি। দাদা, এটা নদী নয়, ই এম বাইপাস। ই এম? এর মানে কী? ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন। আরে আমিও তো ইস্টার্ন। মানে পুবের মানুষ। পুব বাংলা যারে কইত, এখন বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বাংলা। কইয়েন না। শুনলাই চোখের রোগ মনে হয়। এইহানে চোখ দেখাইতেই আসছি তো।…

  • অলীক গোলাপ

    অলীক গোলাপ

    তারপর তো একদিন গোলাপের গন্ধে চারদিক ভরে গেল। শীলা সকালবেলা বারান্দায় এসে পেল সেই সুগন্ধ। চারদিক একেবারে ম-ম করছে। শীলা বাগানের দিকে তাকাল। সেখানে একটা পেয়ারা গাছ আর একটা ক্রিসমাস ট্রি। ফুল বলতে কয়েকটা নাছোড়বান্দা নয়নতারা। এই ফুলগুলো শীলার দেয়ালের ব্র্যাকেটে রাখা গুটিকয়েক নিরীহ ঠাকুরের ফুলের জোগান মেটায়। ও হ্যাঁ, একটা জবাও আছে, সচরাচর দেখা…

  • কস্তুরমঞ্জরীর ঘাট

    কস্তুরমঞ্জরীর ঘাট

    রোদের রং এখন অনেকটা নদীর মতো, মানে গঙ্গামাটি মেশা নদীর জলের যে-রং। এরকম একটা রোদ যখন ওঠে, তখন অনেক আশ্চর্য ব্যাপার ঘটতে পারে। হলোও তাই। একটি ছেলে জেটিঘাট থেকে নেমে টোটো স্ট্যান্ডে যেতে যেতে থমকে তাকাল ডানদিকে। একটা ভেঙেপড়া স্তম্ভের গায়ে লেখা ডাফ সাহেবের স্কুল ১৮৪৯। এই শহরে সবই দেখছি খুব পুরনো।  সালটা দেখলে কেমন…