বেগম আকতার কামাল

  • গালিব আহসান খান দর্শনের আলোকে কবিতা-ভাবনার দিগ্বদিক

    তর্কটা বহু পুরানো – সেই প্লেটোর সময় থেকেই। কবিতা ও দর্শনের সম্পর্ক ও অবস্থান নিয়ে দার্শনিকেরা স্বভাবতই দর্শনকে সর্বোচ্চ স্থান দেন আর কবিতাকে রাখেন নিচের স্তরে। দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক গালিব আহসান খান ওই প্রতর্কসূত্রেই লিখেছেন তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিতে কাব্য-ভাবনা (২০১৩) গ্রন্থটি। দর্শনতত্ত্ব ও কবিতায় পারস্পরিক প্রতিফলন পর্যবেক্ষণে গালিবের শুধু দর্শনশাস্ত্রের জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যই প্রমাণ হয়নি, সেসঙ্গে…

  • প্রত্যয়ী স্মৃতির সঞ্চয়

    প্রত্যয়ী স্মৃতির সঞ্চয়

    প্রবন্ধপাঠ যে একইসঙ্গে অনুভূতি ও মননকে যুগপৎ স্পর্শ করতে পারে ভাবনায়, লাবণ্যে ভরিয়ে দিতে পারে প্রাণ, তার দৃষ্টান্ত অন্তর্নিহিত রয়েছে আবুল হাসনাতের গদ্যে। জানার, বোঝার নানা স্তরিক সমাবেশে-স্বকীয় বিন্যাসরীতিতে বিনির্মিত এই গদ্যশৈলীতে মিশে রয়েছে কবিপ্রাণের আত্মিক ছোঁয়া। মাহমুদ আল জামান নামে যে তিনি কবিতাও রচনা করেন সেটি তখন বিশেষ তাৎপর্য পায়। চিন্তার ব্যাপ্তি আছে, গভীরতা…

  • সিরাজীর প্রথম কাব্য : ‘শব্দে শব্দে বিয়া’

    সিরাজীর প্রথম কাব্য : ‘শব্দে শব্দে বিয়া’

    প্রথম কাব্যগ্রন্থ দাও বৃক্ষ দাও দিন থেকেই হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিসত্তা নিজের পথ সন্ধান করে নিতে চাইছিল। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে, মোট ৪৫টি কবিতার সমাহার। তারপর শুধু লিখেই গেছেন অন্তরতাগিদে, একের পর এক কবিতাগ্রন্থ বের হয়েছে। বিবর্তিত ও বিকশিত হয়েছেন কি? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে প্রবেশ করতে হয় তাঁর রচনার গভীরে, চিহ্নিত করতে হয়…

  • একুশ শতকে কবিতার আমি-সত্তা

    একুশ শতকে কবিতার আমি-সত্তা

    কবির ‘আমি-সত্তা’র বহুবিধ রূপান্তর/ প্রতিসরণ ঘটায় কবিতার ডিকশন। তখন সেটি হয় কবিতার পারসোনা। এই ‘আমি-সত্তা’ ক্লাসিক জগতে ছিল নৈর্ব্যক্তিক, গ্রন্থিক বা নিছক অলংকারপ্রণেতা-রূপে। কিন্তু ইয়োরোপীয় রেনেসাঁসসঞ্জাত ‘আমিত্ব’ বোধই হয়ে উঠল – আজ পর্যন্ত, কবিতার সংতত্ত্ব বা প্যারাডাইম। এই আমি-সত্তা রোম্যান্টিক পর্বে বৈপস্নবিক ও তুঙ্গ রূপ নেয়, কবিতার পারসোনা হয়ে সরাসরি কবিতায় প্রোথিত হয়, দৃশ্যমান হয়।…

  • রবীন্দ্রনাথের ‘ক্যামেলিয়া’ ও ‘প্রথম পূজা’ : নিজেকে ভাঙা

    রবীন্দ্রনাথের ‘ক্যামেলিয়া’ ও ‘প্রথম পূজা’ : নিজেকে ভাঙা

    রাশিয়া-ফেরত রবীন্দ্রনাথ পুনশ্চ (১৯৩২) কাব্যটি যখন লিখলেন তখন তাতে লক্ষ করি তিনটি নতুন বাঁক-পরিবর্তন। বস্তুজগতের অনুপুঙ্খ বয়ান, এমনকি তুচ্ছ অবপ্রাণী পর্যন্ত; দ্বিতীয়ত, চিত্রকলা সৃষ্টির অভিজ্ঞতালব্ধ রঙরেখার আরোপণ, শেষত কাহিনি-কাঠামোয় গদ্যছন্দ – যাকে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ভাবছন্দ দিয়ে নতুন ডিকশন রচনা। এর নেপথ্যে তিরিশের কবিতার গদ্যকবিতা সৃষ্টির প্রেরণা থাকলেও যাঁরা পূর্বাপর রবীন্দ্রকবিতা পাঠ করেন তাঁরা জানেন গদ্যকবিতার…

  • ফণিমনসা : প্রান্তজনের কাব্যনাটক

    ফণিমনসা : প্রান্তজনের কাব্যনাটক

    আমরা চেতনার দাসত্বে বিরোধহীনভাবে টি. এস. এলিয়টের কাব্যনাটক-সম্পর্কিত বক্তব্যকেই মেনে নিয়েছি। তিনি নাটকের জৈবিক ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে কবিতাকে দ্বিতীয় স্থান দিয়েছেন। এটা তো বাস্তববাদের প্রতিই শর্তহীন আবেগ, তার কারণ বোধ করি তিনি ছিলেন ‘রোমান্টিকতার বিরোধী ও ধ্রুপদী সাহিত্যের প্রতি আসক্ত’ (রাম বসু, নন্দনতত্ত্ব জিজ্ঞাসা, ১৯৯৪)। নাট্যমঞ্চ বহুমাত্রিকতা ধরার জন্য পরোক্ষভাবে কবিতার কাছেই হাত পেতেছে…

  • ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ও ‘প্রথম দিনের সূর্য’ : পুনর্বিচার

    ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ও ‘প্রথম দিনের সূর্য’ : পুনর্বিচার

    ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ রবীন্দ্রনাথের আত্মজাগৃতি ও চৈতন্য বিস্তারের আরম্ভকাল।

  • নজরুল : সিন্ধুর তিন তরঙ্গ

    নজরুল : সিন্ধুর তিন তরঙ্গ

    বেগম আকতার কামাল কবিতাই বৃক্ষলতাফুলফল, নদী-সমুদ্র, আকাশ-বাতাসের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর সেটা করে উপমা-রূপকের অলংকরণে। বস্ত্তপৃথিবীর সঙ্গে এরকম সম্পর্ক তৈরির মধ্য দিয়েই ধরা দেয় অতীন্দ্রিয় জগৎ, ইন্দ্রিয়বিশ্বের সঙ্গে রচনা করে মানবিক সম্বন্ধ।