পাপড়ি রহমান

গোলাপি বাড়িটার ওপর দুপুরের রোদ আছড়ে পড়ছে। যদিও আশেপাশে বিস্তর দালান-কোঠা, তাদের উঁচা-উঁচা মাথায় বিচিত্র রঙের প্রলেপ – কিন্তু রোদ্দুরের মায়ার-খেলা আজ ওই বাড়িকেই ঘিরে। ধবধবে আলোর ঝরনাধারায় ব্যালকনির গ্রিল, আভা-আঁধারির আবছায়া জমে থাকা থাইগ্লাসের দরজা – এমনকি জানালার কার্নিশগুলিও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বেশ খানিকটা কৌতূহল নিয়ে শেফালি বাড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকিয়ে তাকিয়ে হয়তো…

ওই যে ওই বছর – যে-বছর যুইদ্ধ বান্ধিল, পাকিস্তানিদের খপ্পর থাইকে বাঁচনের জইন্য ধুন্ধুমার এক যুইদ্ধ, ওই বছরই তো আতাহার মিয়ার বয়স হইছিল সবে ষুল! আলেকজান বিবি নিজের হাড্ডি আর মাংসরে মণ্ড কইরে দিয়ে মানুষ করতেছিল একমাত্র ছাওয়াল আতাহার মিয়ারে। আতাহার মিয়ার গতরে তহন শাওন-মাইস্যা বিলের লাহান বিস্তর-ঢেউ! জলের আধিক্য খলবলিয়ে ছুটে গেছে বিস্তীর্ণ সীমানার…

গুরু যার হয় কাণ্ডারি         গুরুপদে নিষ্ঠা-মন যার হবে।/ যাবে রে তার সব অনুসার/ অমূল্য ধন হাতে সেহি পাবে।।/ গুরু যার হয় কাণ্ডারি/ চালায় তার অচল তরি/ ভব-তুফান ব’লে ভয় কি তারি/ নেচে-গেয়ে ভব-পারে যাবে।।/ আগম নিগমে তাই কয়/ গুরুরূপে দীন দয়াময়/ অসময়ে সখা সে হয়/ অধীন হয়ে যে তারে ভজিবে ।। – লালন শাহ…