মিজানুর রহমান বেলাল
-
শব্দগ্রহণ
মিজানুর রহমান বেলাল চাঁদের চাদরে লেগে থাকা মগ্নতা – মনের দামে কেনা। ভেবে দেখো – এখানেই লেগে আছে সুগন্ধি ছোটবেলা কী করে বেচব বলো – দাদিমার চিকন শব্দের গল্পগাথা! দুধমাখা ভাত আর মায়ের মুখের ডাক – আহা কী মধুর রত্নের দামে যাবে না কেনা; ভারি হয় চোখের পাতা। বাবার রেখে যাওয়া…
-
ফেরা
মিজানুর রহমান বেলাল স্মৃতিফসিল নিয়েই নাটোর স্টেশনে দাঁড়িয়ে – একা বাঁ-পাঁজরে খামচি কাটে – ঘুম হারানো রাত ঘামফুল ঘ্রাণ নিয়ে দেখি – লোকাল ট্রেনের নীরবতা দেখি – কংক্রিটের কদমফুলে হলুদ আলোর সার্কাস স্টেশন মাস্টারের হাতে – সবুজ জোনাকির দৃশ্যকল্প ধাতব ধূসর রেল আর চাকার যাবজ্জীবন চিৎকার সময় হারানো হরিণের ছোটাছুটি – বদলে যায়…
-
হুর
মিজানুর রহমান বেলাল কেউ অরণ্যের কাছে যায় না – অরণ্যই ডাকে সবুজ বুকে যেখানে দুরন্তপাখিদের সমাবেশ, সবুজ পালকের ফলক স্থির দাঁড়িয়ে থাকে – কালের আবরণ ও রহস্য নিয়ে। মেঘের ছাউনিঘেরা ঘুড়ি-ওড়া গ্রাম, চোখের দেয়াল যুবতী বাঁশের খোড়লে ঘুমিয়ে থাকা হীরের জল সবই আমার একাকিত্ব ধার করা প্রজাপতিজন। যতদূর জানি – অরণ্যে কোনো…
-
পিরিতি পূজারি
মিজানুর রহমান বেলাল এ কোন অভিনব চিন্তামগ্নে শূন্যে উঠালি – জলের উপর গৃহস্থালি লুকানো আগুনে পুড়িবে যখন পিরিতি রসে রসিকরঞ্জিত অঙ্গখানি। পিরিতের পিদিম বিবাগী সন্ধ্যায় নিভে গেলে বাঁচিবো কেমনে সখি যদি পৃথিবীর ভূমিতে-বিভেদ পুড়ে যায় – উড়ুউড়ু উড়ন্ত মনপঙ্খি; যদি কলঙ্কের কালিমা কান পেতে শোনে উদাস নিশিরাত্তির চাঁদপ্রহরী। ভয়ে কাঁপে থরথর পিরিতিগীতি, কণ্ঠে…