রাজবাড়ির রাজার অন্দরমহলে রাজনটীর নূপুরের নিক্কণ চিৎকার –

ঝিকিমিকি তারার মরীচিকা বাতাস গলে গলে আগুনফুল ফোটে, 

এখানে মাতালের উদ্যাপন; বোবার বোধ জুড়ে যা কিছু ওড়ে –

রঙিলা জলের অভিমুখে গ্রীবাঘেরা মখমল মনের সবই নিমগ্নতা …

চন্দ্রকরোটি বোবাঘুমে গেছে বলেই – কেঁপে উঠেছে প্রাসাদের ভিত;

রাজনটীর কানঘরে হিমশীতল লোহার দরজা; জ্যোতির্ময় চাপাকান্না।

জল্লাদের জলজরক্ত পদ্মকলি গন্ধহীন জেনে সেনাপতির চোখের ভ্রম

মধ্যরাতে ঝুমুর নৃত্যের অ্যাকোরিয়ামে দেয় সাঁতার –    চিকন লাল পরি;

দুই আনা রুপার কয়েনে ভূমিকম্পন তুলে উষ্ণ অনুভূতির ভূমিতে।

দু-মুঠো শুভ্র মেঘমুক্তোর মালা হাতে রাজামশাই উচ্ছ্বাসে নেচে ওঠে; 

শিহরিত শ্বাসোচ্ছ্বাসে বসন্তকালের কোকিলস্বরে বলে – মা-র-হা-বা…

চুন-সুরকি দেয়ালের মাঝে গর্ভবতী মোমবাতির বোবা আলোর ভিড়ে

লাল পরিরা সব একে একে হয়ে যায় – চকচকে আলোকিত আলেয়া;

সেই আলোর উঠোনে চোখের পিদিম ফুঁড়ে জ্বলে ওঠে সুবর্ণ সকাল

এভাবেই সুবর্ণ সকালের হেঁটে চলা – ঘুমক্লাসে রাজ্যের ইতিহাস পাঠ

এ যেন অতীতের পলে পলে খোয়াবের ঠোঁটে ভাঁটফুলের মৌ মাঠ। 

মাঝে মধ্যে ঘুমঘরে রাজবাড়ির রাজাকে দেখি;

হামেশাই হাঁফাতে হাঁফাতে গলা ছেড়ে হাঁকে –

                                রাজারা বেঁচে থাকে না : প্রজারা থাকে।