মাহবুব বারী
নির্জনতা খুব ভালোবাসত, অনন্ত;
তাই সে নির্জনতায় ঢুকে নির্জনতা না দেখে
চিৎকার করে ওঠে।
তার স্ত্রী তখন কোলাহলে ব্যস্ত।
চিৎকার শুনে হন্তদন্ত হয়ে নির্জনতা পৌঁছে দিলো।
নির্জনতার ঘ্রাণ নিল সে, প্রাণভরে। তারপর
দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ নির্জনতার মধ্যে ডুবে থাকল –
কী সুন্দর নির্জনতা! ঘুমেভরা আচ্ছন্ন মায়াবী!
এরকমই আকাঙ্ক্ষা ছিল, চেয়েছিল
এরকমই কোমল মধুর আর ভাসতে ভাসতে দূরে চলে যাওয়া।
চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকা জীবনের বিরুদ্ধ-স্রোতের কথা
মনে পড়ল তার, আর সংঘাত আর রক্তপাতের।
তারপর চোখে-মুখে হাতে-পায়ে সারা শরীরে
সেই নির্জনতা মাখতে লাগল। তারই গন্ধে কানায় কানায়
ভরে গেল তার নির্জন কক্ষ।
সকাল-দুপুর-বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো,
কোলাহল থেকে ফিরে তার স্ত্রীর মনে পড়ল স্বামীর কথা –
সে নির্জনতার দরজা ধাক্কাতে লাগল।
দরজা ধাক্কাতে লাগল আত্মীয়-স্বজন।
দরজা ধাক্কাতে লাগল পাড়ার লোকজন।
একসময় দরজা খুলে গেল।
কিন্তু কোথাও নেই সে, পাওয়া গেল না তাকে –
শুধু নির্জনতায় ছেয়ে আছে চারদিক।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.