আহসান হামিদ
লিখিনি ব’লে লিখবো না কিছু – তা তো বলিনি।
বলেছি শ্রাবণ মেঘের দিনে ফিরে আসবো একা-একা
তোমার নিকনো উঠোনে। তুমুল বৃষ্টিতে নৃত্যরতা তোমাকে নেবো
বুকে টেনে। এ তৃষিত ঠোঁট ছোঁয়াবো আশ্লেষে
ওই দুটি ভেজা ওষ্ঠচূড়ে। তখনই লেখা হ’য়ে যাবে ঠিক
চিরকালের অবিনাশী এক যুগল কবিতা।
লিখিনি ব’লে লিখবো না – বলিনি এমন কোনো কথা।
তুমি ঘুমের অতলে তলিয়ে গেলে ছিন্ন ক’রে দেবো
শরীরের সমূহ আড়াল। মুগ্ধ পর্যটক হ’য়ে দেখবো
অনিন্দ্য পাহাড়ের সানুদেশ, বন-উপবন, উপত্যকা।
জানবে না কখনো লাবণ্য চুরি হ’তে-হ’তে হ’য়ে উঠেছো
আরও ঐশ্বর্যশালিনী। সে ঐশ্বর্যপ্রভা থেকে
চয়ন করবো যৌবনের অমর উজ্জ্বল পঙ্ক্তিমালা।
লিখিনি ব’লে লিখবো না তোমাকে নিয়ে – এমন দিব্যি দিইনি আজো।
বৈশাখের ঝড়ো গোধূলিতে অরণ্য থেকে অরণ্যে
ছুটে বেড়াবো পাশাপাশি। হঠাৎ হাওয়ার ঘূর্ণিতে
পড়বে ঝ’রে শুকনো পত্রপুষ্প, দু-একটি মরা শাখা।
নিপুণ নীড়ে কেঁপে উঠবে ভীত যতো কপোত-কপোতী।
হঠাৎ বিদ্যুচ্চমকে শব্দের বুদ্বুদে খুঁজে পেয়ে যাবো
নান্দনিক উপমা-প্রতীক আর শাশ্বত চিত্রকল্প।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.