তিনটি কবিতা

২৯শে ডিসেম্বর, ২০২২

কারো সঙ্গেই কথা বলার আগ্রহ নেই, যেন সবকিছুর শেষ ধাপে

এসে গেছি। এখন চুপচাপ দেখে যাওয়া, শুনে যাওয়া। নেই, এখন

আর কোনো দীর্ঘশ^াসও নেই। রক্তনদীর বয়ে চলা দেখি, গাছের

পাতা থেকে টুপটাপ ঝরতে থাকে শীতের শিশির! আমরা মুক্তি

চেয়েছিলাম, পরিণামে গনগনে আগুন খেয়ে মৌন সময়

কাটাই। একদিকেই চলে গেছে সমস্ত পথ

৩০শে ডিসেম্বর

কেউ ধীরপায়ে হেঁটে আসেন, কেউ আমার বইয়ের পাতা জুড়ে

শীতের হাওয়ার নাচন জুড়ে দেন। কারো দিন আলোয় কাটে, কেউ

নদী পথে ঝড়ের তোড়ে ভেসে যান। আমাদের গন্তব্য

কোথায়! নিজেকেও মাঝেমধ্যে সন্দেহের চোখে দেখি

৩১শে ডিসেম্বর

আম্মার কবরের দেয়াল ঘেঁষে হেঁটে যাই। মনে পড়ে

হাসনাতভাইয়ের কথা। সরদার ফজলুল করিম স্যারকেও

আজকাল খুব মনে পড়ে, এতদিন বাদেও মুস্তাফা নূরউল

ইসলাম স্যার চেয়ার জুড়ে বসে থাকেন। আম্মার রাঙা মুখ

আর হাসনাত ভাই। কারো-কারো প্রতীক্ষা থাকে সারা বছর

জুড়ে, এদিকে আমার একটা দিনও যেন আর কাটতে

চায় না! ভেবেছিলাম কথাগুলো কেউ একদিন বুঝবে

এখন দেখি, আমরা কেউই আর কারো কথা শুনতেও

পাই