কী করে এলাম এই এতদূরে বিমূঢ় চাতালে
পথে পথে ছিল বুঝি ভ্রান্তির বিদ্বেষ
হয়তো সেটাই ছিল হিসেবের ভূত –
হাতছাড়া হয়ে গেছে কতকিছু
প্রায় শূন্য হয়ে এলো আমার ভাঁড়ার,
হয়তো প্রবীণ দিন খুবলে খাবে আরো কতকিছু!
তখন ব্যাকুল হাত হাতড়াবে স্মৃতির খনিই
নাকি ওকেই বলেছে কেউ
জ¦লে-ওঠা দ্যুতিগর্ভ জীবনআধার!
সারাটা জীবন আমি নির্নিমেষে দেখে গেছি শুধু
জড়ো হলো লেকভরা স্মৃতির সারস ২
বহুদূর বীক্ষণের বোধজাগা চোখের প্রশ্রয় পেয়ে
তারা শুধু হাতড়ে গেছে জলের গহন,
জানি সবকিছু লুপ্তির আড়ালে যাবে
চতুর সৈনিক এসে কোনো এক বিশুষ্ক সন্ধ্যায়
মূঢ় হেসে ছত্রখান করে দেবে সবকিছু ॥