গভীর জল অতল কোনো মেয়ে,
কেউ ছিল না সুন্দরী তার চেয়ে।
খুঁজতে তাকে গিয়েছে এক কবি,
চিনতো না সে ঊষা কালের ছবি।
জানতো না সে সূর্য কাকে বলে,
সন্ধ্যা থাকে দূরে অস্তাচলে।
সেই মেয়েটি রাজার মেয়ে নয়,
কবির চোখে আনখ বিস্ময়।
সেই মেয়েটি কাজের ফাঁকে ফাঁকে
জানলা দিয়ে দেখতো ছেলেটাকে।
জানতো না সে ছেলেটা শুধু কবি,
জরুরি কাজ রেখেছে মুলতবি।
ভালোবাসার দীর্ঘ খাতা খুলে
শব্দ খোঁজে হাত চালিয়ে চুলে।
মেয়েটি তার চোখের গানে গানে
কবির হৃদয় আস্তে তুলে আনে।
নগরে নীল বাঘের গর্জনে
মেয়েটি শুধু শঙ্কা জপে মনে।
আকাশ কাঁপে তারারা শুধু কাঁপে,
বাড়ছে ভয় বিরহ উত্তাপে।
কবির চেয়ে শক্তি আছে কার
শব্দ থেকে পেয়েছে ওঙ্কার।
ঈশান থেকে অস্ত্র আসে বাণ
কবির বুক অসীম অভিধান।
মেয়েটি তার বর্ণ খুঁজে পায়,
মানবে না সে কখনো অন্যায়।
কবির আছে বজ্রবাণী ভাষা
সবচে’ দামি অগাধ ভালোবাসা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.