আয়েশাপাগলির গর্ভফুল 

স্কুলে যাওয়ার সময় দেখি আয়েশাপাগলি রাস্তার ড্রেনের পাশে বসে বমি করছে।

পথযাত্রীরা যাওয়ার সময় বকে বকে যাচ্ছে। কেউ নাকে রুমাল চেপে চলে যাচ্ছে। আমরা কয়েক বান্ধবী একটু নিরাপদ দূরত্ব রেখে চলে গেলাম।

আমার বয়স তখন বারো কী তেরো বছর। সেদিন স্কুল থেকে ফিরেই দেখি সবাই যেন কীসব বলাবলি করছে। জিজ্ঞেস করলে কেউ কিছু বলে না। ব্যাপারটার মধ্যে কেমন যেন একটা রহস্যময়তা।

ভাবলাম বাসায় ফিরে মার কাছে শুনবো। মাও কেমন যেন চুপচাপ। চোখদুটি ম্রিয়মাণ হয়ে আছে। আমার মায়ের চোখ দুটি যেন পাখির ডানা। ডানা ঝাপটানো দেখলেই আমি বুঝতে পারি মায়ের মনে কী চলছে।

মা কেমন যেন নীরব হয়ে গেছে। আমরা ভাইবোনরা মাকে নীরব দেখে কষ্ট পাচ্ছি। অফিসফেরত বাবাও চুপচাপ।

ছোটবেলা থেকে দেখছি বাবা আর মা যেন একই বৃন্তে দুটি পাখি। দুজন সবসময় একই মতে ও চিন্তায় চলে। একজনের মন খারাপ হলে অন্যজনেরও মন খারাপ দেখেছি।

আমরা ভয় পেয়ে নিজেরাই চুপচাপ খাওয়া-দাওয়া করে পড়তে বসে গেলাম। আজ আর কেউ মাঠে গেলাম না। রাতেই তাড়াতাড়ি খেয়ে বিছানায় চলে গেলাম।

ছোট বোন সেতু আমার কানের কাছে মুখ এনে চুপি চুপি বলে ‘কী হয়েছে রে ডাক্তার?’ ভাইবোনরা আমাকে ডাক্তার বলে ডাকে। ছোটবেলায় আমি নাকি সবসময় ডাক্তার ডাক্তার খেলতাম, তাই বাবা ওদের শিখিয়েছে ডাক্তার ডাকতে। আমি গম্ভীর হয়ে তাকাতেই সে চাদরের নিচে মাথা ঢুকিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছে।

পরদিন সকালে ঘুম ভেঙেই দেখি আয়েশাপাগলি বাসার সামনে বসে আছে। ওকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। অনেক কষ্টে মাথা সোজা রেখেছে। যেন পারলে এখানেই শুয়ে থাকতো। যথারীতি মা ওকে খেতে দিলো। দু-এক গাল খেয়েই ছুটে চলে গেলো। গেটের বাইরে গিয়ে বমি করে সেখানেই শুয়ে থাকলো। মা ছলছল চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর নিজের কাজে চলে গেলো।

আমাদের বাসায় প্রতিদিনের নিয়ম, আয়েশাপাগলিকে খেতে দেওয়া। প্রতিদিন সকালে সে চলে আসে, এসেই গেটের ভেতরে ঢুকে সিঁড়ির একপাশে বসে থাকে। নিজের মনে মাথা থেকে উকুন বের করে মারতে থাকে। কিছু বলে না, খাবারও চায় না। মাঝে মাঝে দরজার দিকে তাকায়। শান্ত মনেই বসে থাকে, যেন সে জানে তাকে ধৈর্য ধরতে হবে। মার সঙ্গে তার একটা সহানুভূতির সম্পর্ক আছে। মা প্রতিদিন ওকে খেতে দেয়। মা যা দেয় সে খুব তৃপ্তি ভরে খায়, তারপর প্লেট ধুয়ে রেখে চলে যায়।

মা মাঝে মাঝে ওকে জামাকাপড় দেয়, তেল-সাবানও দেয়। কিছু দরকার হলে মার কাছে এসে টুপ করে বসে থাকে। কিছুই বলে না। মাকেই খুঁজে বের করতে হয় ওর প্রয়োজনটা। মা ওর প্রয়োজনীয় বস্তুটা দেয়। আয়েশাপাগলি নিয়ে চলে যায়। এভাবে ভালোই চলছিলো।

প্রত্যেক মহল্লায় একজন করে পাগল থাকে। তাদের কেউ কিন্তু ক্ষতিকর না। তখনই তারা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে যখন কেউ তাদের বিরক্ত করে। আয়েশাপাগলি কখনো কাউকে বিরক্ত করে না।

আয়েশাপাগলি অসম্ভব বিশ্রী দেখতে। যেমন তার কালো গায়ের রং, তেমনি তার চেহারা খারাপ। সারা শরীরে হাড্ডি আর চামড়া ছাড়া কিছুই নেই। মাথার চুলগুলো শনের মতো, তার মধ্যে উকুন। খুব ময়লা কাপড়চোপড় পরে থাকে। তার পাগলামির লক্ষণ হুলো শুধু হেঁটে বেড়ানো। খাওয়া ছাড়া কখনো তাকে বেশিক্ষণ এক জায়গায় দেখা যায় না।

কোথা থেকে এলো, কী তার পরিচয় কেউ জানে না। কখনো তাকে কথা বলতে শুনেনি কেউ। কিন্তু তার কুৎসিত চেহারার জন্য ওর দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়েও থাকা যায় না।

আজ ছুটির দিন। আমরা সবাই দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি, কিন্তু মা যথাসময়ে জেগে গেছে। রান্নাঘরে খুটখাট শব্দ হচ্ছে। আমি পায়ে পায়ে কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখি মা রুটি বানাচ্ছে। আলু, বেগুন আর তেঁতুল দিয়ে একটা তরকারি রান্না করেছে। আমাকে দেখে হেসে তাকালো, মিষ্টি করে বলে, ‘আজ যে আমার বড় রাজকন্যা এতো আগে জেগেছে!’ হঠাৎ পেছনে সেতুর গলা পেলাম, ‘মা, তুমি ডাক্তারকে আদর করছো, আমাকে করবে না?’ মা সঙ্গে সঙ্গে কাজ থামিয়ে দিয়ে আমাদের
দু-বোনকে দু-বাহুর মধ্যে নিয়ে নিলো। দুজনের কপালে চুমু দিয়ে বললো, ‘তোরা দুজন আমার দুই নয়ন’।

ততক্ষণে বাবাও ঊঠে এসেছে। হেসে বললেন, ‘এই যে রাজকন্যাদের জননী, প্রজার জন্য কী এককাপ চা হবে?’ আমরা সবাই হেসে উঠলাম।

ব্রেকফাস্টের টেবিলে সবাই একসঙ্গে বসেছি।  টেবিলে অনেক খাবার সাজানো হয়েছে। সেতু এমনিতেই একটু পেটুক, এতো খাবার দেখে ওর চোখ যেন চকচক করে উঠলো। খাবার দেখেই খাওয়া শুরু করলো। পরপর দুটো ডিম খেয়ে নিয়েছে, আরেকটার দিকে হাত বাড়িয়ে আমার দিকে তাকাতেই আমি চোখ গরম করলাম। মনঃক্ষুণ্ন হয়ে হাতটা সরিয়ে আনলো। বাবার ডাকাডাকিতে মা এসে বসেছে কিন্তু বারবার চোখ চলে যাচ্ছে দরজার দিকে। বুঝলাম এ-অপেক্ষা আয়েশাপাগলির জন্য।

সবার ছোট অভ্র, বাবার কোল ঘেঁষে  বসেছে। ছুটির দিনে ও সবসময় বাবার সঙ্গে সঙ্গে থাকে। উদ্দেশ্য বাবার সঙ্গে বাজারে যাওয়া, নিজের পছন্দের খেলনা, চকলেট আর বই কিনে আনা। বাবা-মা সবসময় আমাদের বই কিনতে উৎসাহ দেয়। অভ্র বাবার সঙ্গে বাইরে গেলেই বই কিনে আনে আর আমরা তিন ভাইবোন মিলে পড়ি।

রোদটা যখন সিঁড়ির ওপর পা রেখেছে, তখনই আয়েশাপাগলি এলো। আগের মতোই টুপচাপ বসে আছে তবে মাথাটা সোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে। সিঁড়ির রেলিংয়ে মাথা রেখে বসেছে। মা ওকে খাবার দিয়ে পাশে বসলো। অন্য সময় মা নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। আজ তা করলো না। ওকে দেওয়া হয়েছে আলু-বেগুন-তেঁতুলের তরকারির সঙ্গে রুটি। প্রথমে অবহেলাভরে একটু মুখে দিলো, তারপর গোগ্রাসে খাওয়া শুরু করলো। বেশ তৃপ্তি সহকারে খেলো। ওর খাওয়া দেখে মার চোখে জল এসে গেছে। আয়েশাপাগলির মুখটা উজ্জ্বল হয়ে গেছে। খাওয়া শেষে প্লেটটা ধুয়ে দিলো। আজ আর গেলো না। সিঁড়ির পাশেই শুয়ে পড়লো। মা একটা পুরনো চাদর এনে ওর গায়ে দিয়ে দিলো।

মা ওর জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এসে দেখে চলে গেছে। চাদরটা ভাঁজ করে একপাশে রেখে গেছে। বিকেলে আবার এলো, মায়ের দেওয়া খাবার খেয়ে চলে গেলো।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে আয়েশাপাগলি যুক্ত হয়ে গেলো। ওর জন্য দুবেলার খাবার রাখা হয়, সঙ্গে থাকে ওর পছন্দের আলু-বেগুন-তেঁতুলের তরকারি। অনেক পরিমাণে খায় সে। স্বাস্থ্যটাও যেন একটু ভালো হয়েছে।

আজকাল দেখি, মা ওকে একটা করে ডিমও দেয়। সেদিন সেতু দেখেছে। আমার কাছে এসে বলে, দেখো ডাক্তার, আয়েশাপাগলিকে মা ডিম খেতে দিয়েছে, আমরা কী খাবো?’ আমি আবার ওর দিকে চোখ গরম করে তাকালাম। সুড়সুড় করে চলে গেলো।

সামনে জেএসসি। পড়াশোনার চাপ বেড়ে গেছে। কোনোদিকে মন দেওয়ার সময় নেই। শুধু পড়া আর পড়া। মাঝে

মাঝে সেতু কিছু বলতে আসে, শোনা হয় না। আমার তাকানো দেখে গজগজ করতে করতে চলে যায়।

দুটো পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

তৃতীয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময় চুপিচুপি অভ্র এলো। অভ্র এতো ছোট যে, ওকে বকতে ভালো লাগে না। তাছাড়া ওকে বকলে ও উলটো কোলের মধ্যে বসে এতো আদর শুরু করে হাসি পেয়ে যায়। অভ্র আমার গালের কাছে মুখ নিয়ে বলে, ‘জানিস ডাক্তার, মা আয়েশাপাগলিকে খাইয়ে খাইয়ে পাশের বাড়ির পুলিশ আংকেলের মতো মোটা বানিয়ে দিয়েছে।’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকাতেই ফোকলা দাঁতে হেসে দিলো, বলে, ‘আয়েশাপাগলির ইয়া মোটা পেট।’ গত সপ্তাহে ওর সামনের দাঁতটা পড়ে গেছে, হাসলে বেশ মজাই লাগে। আমি ওর দাঁতের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম। বুঝতে পেরে দুহাতে মুখ ঢেকে দৌড়ে চলে গেলো।

আমি অবাক হয়ে গেলাম, আয়েশাপাগলি মোটা হলো কবে? সে তো সবসময় দেখতে খ্যাংড়াকাঠির মতো।

পরের দিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম আয়েশাপাগলি আমাদের সামনে দিয়ে খুব ধীরে ধীরে হেঁটে গেলো। বিশাল একটা পেট। পেটের ওজনে ওর হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মুখটা বেশ আলোকিত মনে হলো। চলার সময় সারা শরীরে একটা খুশির ঝংকার উঠছে।

বিকেলে বাসায় ফিরে দেখি বাবা-মা একসঙ্গে বসে চা পান করছে। আমি  মাকে বললাম, ‘মা, তুমি আয়েশাপাগলিকে আর খেতে দিও না, ও কী মোটা হয়েছে, হাঁটতেই পারে না।’

মা হাত থেকে চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো, তারপর বললো, ‘তুমি পড়তে যাও, এসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।’ মার বকা খেয়ে আমি থমকে গেলাম। একটু দূরে দাঁড়িয়ে সেতু হাসছে। জানি পরে সে আমাকে ক্ষেপাবে। আমি চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেলাম।

কিছুদিন পর আমাদের জেএসসি রেজাল্ট বের হয়েছে। বেশ চিন্তিত মনে স্কুলে গেলাম। বাবার যাওয়ার কথা ছিলো, অফিসের কাজের চাপে যাওয়া হলো না। অভ্রকে স্কুল থেকে নিয়ে মা আসবে। আমি আগেই চলে এলাম।  কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের রেজাল্ট জানানো শুরু হয়ে গেলো। তখনো মা এসে পৌঁছেনি। আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। মন খুব খুশি। মা আসার আগেই আমি স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম। ইচ্ছা হলো সরাসরি অভ্রর স্কুলে গিয়ে মাকে খবর দেবো। একটু এগোতেই দেখি রাস্তার পাশে একটা পরিত্যক্ত দোকানের পাশে শুয়ে আয়েশাপাগলি কাঁদছে। পেটে হাত রেখে কেঁদেই যাচ্ছে। আমি একরকম ছুটে গেলাম মার কাছে, বলতে হবে আয়েশাপাগলির কষ্টের কথা। স্কুলে গিয়ে মাকে পেলাম না। মা আগেই বের হয়ে গেছে। আমি আবার নিজের স্কুলের দিকে রওনা হলাম। আসার পথে আর আয়েশাপাগলিকে দেখলাম না।

এর মধ্যে আমরা নতুন ক্লাসে উঠে গেলাম। নতুন বই পেয়ে বেশ ভালোই লাগছে। ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলের জন্য বের হবো, এমন সময় দেখি সিঁড়ির পাশে আয়েশাপাগলি বসে আছে। ওর কোলে একটা বাচ্চা। দেখতে ঠিক আমাদের কালো বেড়ালের বাচ্চার মতো। গত বছর আমাদের বাসায় একটা বেড়াল এসেছিলো সঙ্গে ছিলো একটা বাচ্চা। মায়ের মতো কালো আর চিকন গড়নের। আয়েশাপাগলি আর ওর বাচ্চাটাকে দেখে সে-কথাই মনে হচ্ছে। সে বাচ্চাকে আদর করছে। মা ওর সামনে অনেক খাবার রেখে পাশে বসে মায়ের আদর করা দেখছে। মার মুখটা বেশ হাসি হাসি।

আবার শুরু হলো আয়েশাপাগলির আসা-যাওয়া। সঙ্গে থাকে কাঠির মতো হাত-পাওয়ালা বাচ্চাটা। একটা মাথা আর চারটা হাত-পাওয়ালা বাচ্চা দেখতে ঠিক আয়েশাপাগলির মতোই হয়েছে। একটুও কাঁদে না। সারাক্ষণ মায়ের শরীরের সঙ্গে ঝুলে থাকে। আর সে সর্বক্ষণ বাচ্চাকে আদর করছে আর হাসছে।

আমাদের দিন কাটে আয়েশাপাগলি আর ওর বাচ্চাকে দেখে। স্কুলে গেলেও বন্ধুদের সঙ্গে এ-কথা নিয়েই আলোচনা হয়।

হঠাৎ একদিন ভোররাতে সবার ঘুম ভেঙে গেল ওর চিৎকারে। সারা পাড়াময় বাচ্চাকোলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আর চিৎকার করছে। ওর কোনো ভাষা নেই, কিন্তু আজ জানলাম চিৎকারের কোনো ভাষা থাকে না। কয়েকজন কাছাকাছি গিয়ে দেখলো বাচ্চাটা বেঁচে নেই। দেখেই মনে হচ্ছে বেশ আগেই মারা গেছে। মায়ের বুঝতে দেরি হয়েছে অথবা মানতে চায়নি। ওর তীব্র চিৎকারে কান পাতা ভার হয়েছে। পাড়ার লোকজন বিরক্ত। মসজিদে খবর দেওয়া হলো। বিকেলে কিছু মুসল্লি এসে জোর করে আয়েশাপাগলির বাচ্চার দেহটা ছিনিয়ে নিলো। প্রথমে দিতেই চায়নি। পরে আর বাধা দিলো না। চিৎকার করতে করতে ওদের পেছনে পেছনে চলে গেলো। ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি আর। জানি না, সে কী বুঝেছে।

তিনদিন হয়ে গেলো সে আর খেতে আসে না। মা ওর অপেক্ষা করে প্রতিদিন। তিনদিন পর এলো কিন্তু কিছুই খেলো না। আমাদের গেটের বাইরে মাটিতে বুক দিয়ে শুয়ে থাকলো। বিকেলে উঠে চলে গেলো। এর পর থেকে ওকে যখনই দেখতাম, মাটিতে বুক পেতে শুয়ে আছে।

একসময় আয়েশাপাগলিকে কেউ আর দেখলো না।

অনেকদিন পর মাকে শুধু বলতে শুনলাম, কে জানে, হয়তো মাটি তাকে বুকে টেনে নিয়ে সব জ্বালা জুড়িয়ে দিয়েছে।